জিঙ্ক সমৃদ্ধ উদ্ভিজ্জ খাবার

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে জিঙ্ক।

লাইফস্টাইলডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2021, 11:14 AM
Updated : 30 May 2021, 11:14 AM

খনিজ উপাদান জিঙ্ক বা দস্তা’র উৎকৃষ্ট উৎস মাংস। তবে যারা প্রাণিজ খাবার কম খান বা নিরামিষাশী তারাও উদ্ভিজ্জ খাবার থেকে জিঙ্ক পেতে পারেন।

এনডিটিভি ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতীয় পুষ্টিবিদ লভনিত বাত্রা বলেন, “সাধারণভাবে বিশ্বাস করা হয় যারা নিরামিষাশী তাদের দেহে জিঙ্কের অভাব থাকে। তবে আমার মতে উদ্ভিজ্জ খাবার থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক পাওয়া সম্ভব।”

বাত্রা আরও বলেন, “সুস্থ থাকতে জিঙ্ক প্রয়োজন। এটা ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। ক্ষত সারানোর পাশাপাশি স্বাদ ও ঘ্রাণ ইন্দ্রিয়কে সচল রাখতে দস্তা বা জিঙ্কের প্রয়োজন আছে।”

জিঙ্ক সমৃদ্ধ কয়েকটি উদ্ভিজ্জ খাবারের উৎস সম্পর্কেও জানান এই পুষ্টিবিদ।

তিলের বীজ: তিলের বীজ পুষ্টির আঁধার। এটা জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, লৌহ, ও ভিটামিন বি-সিক্স সমৃদ্ধ।

এটা তাপ উৎপাদন করে, তাই দিনে দুই চামচের বেশি তিলের বীজ খাওয়া ঠিক নয়। অথবা সমস্যা এড়াতে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে বা হালকা ভেজে নাস্তা হিসেবে খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদ বাত্রা।

পনির: যদিও উদ্ভিজ্জ খাবার নয়। তবে প্রোটিনের উৎস হিসেবে নিরামিষভোজীদের কাছে পনির বেশ জনপ্রিয়। পনির বা কটেজ চিজ ক্যালসিয়াম ও জিঙ্কের ভালো উৎস।

স্যান্ডউইচ, সালাদ বা রুটিতে পনির যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। 

ডাল: ভারতসহ আমাদের দেশে খাবারের পদ হিসেবে ডাল বেশ জনপ্রিয়। এগুলো উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ ও সহজে হজমযোগ্য। এক্ষেতে ছোলার ডাল জিঙ্কের ভালো উৎস ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

এক কাপ ডাল থেকে দৈনিক চাহিদার ৩০ শতাংশ জিঙ্ক, আঁশ ও প্রোটিন পাওয়া যায়।

ওটস: প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যআঁশ ছাড়াও আধা কাপ ওটসে ১.৩ মি.গ্রা. জিঙ্ক পাওয়া যায় যা নারীদের দৈনিক চাহিদার ১৬ শতাংশ পূরণ করে।

কুমড়ার বীজ: এক টেবিল-চামচ কুমড়ার বীজে ২.২ মি.গ্রা. জিঙ্ক থাকে যা প্রাপ্ত বয়স্কের দৈনিক চাহিদার ২৮ শতাংশ। এটা প্রোটিনের ভালো উৎস। ফলে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

মাশরুম: শিটাকে মাশরুম দৈনিক চাহিদার তিন শতাংশ জিঙ্ক সরবারহ করে এবং এটা যেভাবেই রান্না করে খাওয়া হোক না কেনো তা শরীরের জন্য উপকারী।

নিরামিষ ভোজী হয়ে থাকলে অথবা উদ্ভিজ্জ খাবার থেকে জিঙ্ক পেতে চাইলে খাদ্যতালিকায় এসব উপাদান যোগ করতে পারেন।

তবে মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্যগত কোনো প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

আরও পড়ুন