ত্বকের যত্নে নানান তেল

সুন্দর, মসৃণ, দাগহীন ত্বক পেতে ব্যবহার করা যায় বিভিন্ন ‘এসেনশল অয়েল’।

লাইফস্টাইলডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2021, 02:56 PM
Updated : 22 May 2021, 02:56 PM

রাসায়নিক প্রসাধনী থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক উপাদান মেখে অনেকে ক্লান্ত হয়ে গেলেও পরিত্রাণ মিলছে না ব্রণ বা কালচেভাব থেকে।

তবে সুন্দর দাগহীন ত্বকে এবার আশ্রয় নিতে পারেন বিভিন্ন প্রকার ‘এসেনশল’ তেলের।

ভারতের ‘ব্লসম গ্রুপ অব কোম্পানি’ সভাপতি ডা. ব্লসম বলেন, “এসেনশল তেল মন ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বকের যত্ন নিতেও ভালো কাজ করে।”

টাইমস অফ ইন্ডিয়া ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “আমি তিন দশক ধরে অ্যারোমাথেরাপির অনুশীলন করছি। তাই  নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে এসেনশল তেলগুলো কেবল মন এবং আত্মার জন্যই কাজ করে না। বরং এর সঠিক সংমিশ্রণে ব্যবহার করা গেলে ত্বকের জন্যও খুব ভালো ফলাফল দেয়।”

টোনার: বাড়িতেই টোনার বানাতে চাইলে ১০ ফোঁটা গোলাপের এসেনশল তেল ১০০ মি.লি. গোলাপ জলে (সাধারণ, শুষ্ক, সংবেদনশীল ত্বক) বা ‘উইচ হেজেল’ (তৈলাক্ত ত্বকের জন্য) মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ গাঢ় রংয়ের বোতলে সংরক্ষণ করুন ও নিয়মিত ব্যবহার করুন।

তৈলাক্ত ত্বক: দুই ফোঁটা ‘টি ট্রি’ তেল, এক ফোঁটা ‘লেমন অয়েল’ ও এক টেবিল-চামচ জোজোবা তেল মিশিয়ে নিন।

এই মিশ্রণ থেকে কয়েক ফোঁটা তেল নিয়ে মুখে আলতোভাবে মালিশ করুন। তেলের কার্যকারিতা বাড়াতে গরম ভাপ নিন।

শুষ্ক ত্বক: তিন ফোঁটা চন্দনের তেল, এক ফোঁটা ‘জেরেনিয়াম’ তেল, এক টেবিল-চামচ আমন্ড বা কাঠ-বাদামের তেল ও এক চা-চামচ ক্যাস্টর বা রেড়ির তেল মিশিয়ে নিন।

এই মিশ্রণ থেকে কয়েক ফোঁটা তেল সারা মুখে মালিশ করে গরম ভাপ নিতে পারেন। পরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

প্রাপ্ত বয়স্ক ত্বকের ফেইস প্যাক: একটা পাত্রে এক চা-চামচ গুঁড়া দুধ, এক টেবিল-চামচ পেঁপের আঁশ, এক চা-চামচ মধু ও দুই ফোঁটা ‘জেরেনিয়াম’ এসেনশল তেল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকের বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করতে জেসমিন এসেনশল তেল ব্যবহার করা যায়। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে এই তেলের সঙ্গে দুই ফোঁটা কাঠবাদামের তেল মিশিয়ে মালিশ করুন।

মালিশের পরে মুখের ওপর গরম তোয়ালের ভাপ নিন। আরাম পাবেন, ঘুম ভালো হবে।

ব্রণের সমস্যা: টি ট্রি এসেনশল তেল ফাঙ্গাস ও ব্যাক্টেরিয়া নাশক। এবং এর ‘অ্যান্টিসেপ্টিক’ উপাদান ত্বককে সুরক্ষিত রাখে।

ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে সরাসরি এই তেল ব্যবহার করলে উপকার মিলবে।

চন্দনের তেল: ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করার পাশাপাশি বিশুদ্ধ রাখতে চমৎকার কাজ করে স্যান্ডালউড এসেনশল অয়েল। এছাড়াও এটা শুষ্ক ত্বকের জন্যও উপকারী।

মুখ মালিশ করতে চন্দন ও কাঠবাদামের তেল একসঙ্গে ব্যবহার করা যায়। আরাম ও ভালো ফলাফল পেতে তেল মালিশের পরে গরম তোয়ালে দিয়ে ত্বক ঢেকে রাখুন।

বড়দের শুষ্ক ত্বক:  প্রাপ্ত বয়স্কদের শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে ‘নেরুলি এসেনশল অয়েল’ খুব ভালো কাজ করে। মুখ মালিশ করার সময় এই তেলের সঙ্গে দুই ফোঁটা  কাঠবাদামের এসেনশল তেল নিয়ে মালিশ করুন।

দাগ কমাতে: ‘ল্যাভেন্ডার এসেনশল অয়েল’ কাটা ও পোড়ার জন্য উপকারী। যে কোনো পোড়া ও কাটা দাগের ওপর প্রতিদিন ল্যাভেন্ডার তেল মেখে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট মালিশ করলে উপকার মিলবে।

ব্র্রণের দাগ দূর: ‘পাচৌলি এসেনশল অয়েল’ ব্রণের দাগ দূর করতে উপকারী।

দৈনিক ত্বকের যত্নের ধারাবাহিকতায় মুখ ধোয়া ও টোনার ব্যবহারের পরে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।

এক ফোঁটা পাচৌলি তেলের সঙ্গে পানি মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন।