দুশ্চিন্তা আর মানসিক চাপ কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবার

মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে পেটের স্বাস্থ্যও ভালো রাখা চাই।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2021, 07:11 AM
Updated : 18 May 2021, 07:11 AM

আর হজম-ক্রিয়া উন্নত রাখতে চাই স্বাস্থ্যকর খাবার। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চা দেহ ভালো রাখার পাশাপাশি মানসিক অবস্থারও উন্নতি ঘটায়।

তবে স্বাস্থ্যকর খাবারও মানসিক অবস্থার উন্নতিতে প্রভাব রাখে। গবেষণায় এরকমই ফলাফল পাওয়া গেছে।

মনের স্বাস্থ্যের সঙ্গে অন্ত্রের যে যোগাযোগ রয়েছে তা প্রমাণ করেছেন ‘সাংহাই জাও টং ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের গবেষকরা।

‘ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল’য়ে প্রকাশিত এই পর্যবেক্ষণ-মূলক নীরিক্ষায় দেখা গেছে বিষণ্নতা দূর করতে ভূমিকা রাখে অন্ত্রের ‘মাইক্রোবায়োটা’। এই ব্যাক্টেরিয়া খাদ্য-আঁশ হজম করার পাশাপাশি অন্যান্য কাজে সহায়তা করে।

আর অন্ত্রের অনুজীবদের স্বাস্থ্য যদি ভালো থাকে তবে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উপকার হয়। এই তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই গবেষণা চালানো হয়।

এই পরীক্ষা চালানোর জন্য গবেষকরা একসঙ্গে ১,৫০৩ জন মানুষের ওপর করা ২১টি গবেষণাপত্র পর্যবেক্ষণ করেন।

এসব গবেষণায় প্রোবায়োটিক ও ‘নন-প্রোবায়োটিক’ খাবার ব্যবহার করে দেখার চেষ্টা করা হয়েছিল কোন ধরনের খাবার শরীরে ভালো প্রভাব রাখে।

গবেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘ফিট অ্যান্ড ওয়েল’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, উল্লেখিত সংখ্যক গবেষণার মধ্যে অর্ধেকের বেশি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে অন্ত্রের ‘মাইক্রোবায়োটা’ উন্নত করার মাধ্যমে বিষণ্নতার লক্ষণ দূর হয়েছে।

“অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা উন্নতির ক্ষেত্রে দুটি জিনিস হস্তক্ষেপ (প্রোবায়োটিক এবং নন-প্রোবায়োটিক) করে এবং এটি বলা জরুরি যে প্রোবায়োটিকের চেয়ে নন-প্রোবায়োটিকের হস্তক্ষেপগুলো বেশি কার্যকর ছিল।”

সাধারণত বলা হয় প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যেমন- দই ‘ভালো ব্যাক্টেরিয়া’ সমৃদ্ধ যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

তবে ‘জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি’র তথ্যানুসারে ৩৬ শতাংশ গবেষণায় দেখা গেছে প্রোবায়োটিক এক্ষেত্রে কার্যকর।

‘দ্যা ইউকে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’ প্রতিদিনি কমপক্ষে চার সপ্তাহ ‘প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট’ খাওয়ার পরামর্শ দেয়।

তাই খাবারে প্রোবায়োটিক যোগ করাতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। 

অন্ত্রে ভালো ব্যাক্টেরিয়া বাড়ানোর দুটি ভালো উপায় হল- প্রচুর পরিমাণে পানি পান ও আঁশ-জাতীয় ফল ও সবজি খাওয়া।

পানি ছাড়া আঁশ ঠিক মতো কাজ করতে পারে না এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সৃষ্টি করে। তাই আঁশজাতীয় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি এর কার্যকারিতা বাড়াতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। 

আপেল, নাশপাতি, বেরি, ব্রকলি, গাজর ইত্যাদি থেকে প্রচুর আঁশ পাওয়া যায়। এসব খাবার ‘ব্লেন্ড’ করে শরবত বানিয়ে পান করলে প্রয়োজনীয় আঁশ পাওয়া যাবে না।

তাই গোটা ফল বা সবজি খেতে হবে।

শস্য-ধরনের খাবার যেমন- ওটস বা বাদামি রুটি ও পাস্তা ইত্যাদির পাশাপাশি ডাল ও মটর-ধরনের খাবার শরীরের জন্য উপকারী।

সাদা খাবারের বদলে বাদামি খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

আরও পড়ুন