শ্যাম্পু ব্যবহারে সুগন্ধময় কেশ

বেশ পরিপাটি হয়ে মাথা ঢেকে বের হলেও এই ঋতুতে ঘামের কারণে চুলের গোড়া ভিজে থাকে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2021, 05:45 AM
Updated : 9 May 2021, 03:20 AM

আবার হঠাৎ বৃষ্টির কারণে চুলে লেগে থাকা পানি শুকাতেও সময় নেয়। ফলাফল মাথায় গন্ধ হওয়া আর চুলের বারোটা বাজা।

মাথার ত্বক ঠিক মতো পরিষ্কার না করলে, চুলে শুধু বাজে গন্ধই হয় না, সঙ্গে দেখা দিতে পারে খুশকি বা হতে পারে ফাঙ্গাসের আক্রমণ। তাছাড়া হিজাব ব্যবহার করলে চুল দূষণ ও ধুলাবালি থেকে রক্ষা পেলেও, মাথার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে ঘাম ও মাথার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল বা সেবাম নিঃসরণের কারণে চুলকানি ও দুর্গন্ধ দেখা দেয়।

তাই বাতাস চলাচল করতে পারে এরকম কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা উচিত। পাশাপাশি প্রতিদিন পরিষ্কার হিজাব ব্যবহার করতে হবে।

মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা, খুশকি দূর করা চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও সুগন্ধময় কেশের জন্য একক সমাধান হিসেবে ব্যবহার করা যায় ‘ক্লিয়ার হিজাব পিওর’ শ্যাম্পু।

এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান ময়লা ভালো মতো পরিষ্কার করে। খুশকির সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আর এর সুগন্ধ কেশ দুর্গন্ধ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

আর শ্যাম্পু করার সময়, আগে ও পরে যদি কিছু নিয়ম মেনে চলা হয় তবে শ্যাম্পুর পুরো উপকারটা পাওয়া যায়।

স্টিম করা: মুখে স্টিম নিলে গভীর থেকে যেমন তেল ময়লা বেরিয়ে আসে, চুলের বেলাতেও তাই। স্টিম নিলে চুলের গোড়ায় জমে থাকা সেবাম, খুশকি ও ময়লা আলগা হয়ে উঠে আসে। এজন্য একটা তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে নিংড়ে মাথায় জড়িয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট। তারপর শ্যাম্পু করতে হবে।

মালিশ: শ্যাম্পু করার আগে চুলের গোড়ায় আঙুল দিয়ে কয়েক মিনিট মালিশ করে নিলে ময়লাগুলো আলগা হয়ে উঠে আসবে, দুর্বল চুলও উঠে যাবে।

ঠাণ্ডা পানিতে শ্যাম্পু: গরম পানি চুলের স্বাভাবিক তেল নষ্ট করে। ফলে রুক্ষ হয়ে যায় চুল। অন্যদিকে ঠাণ্ডা পানি চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই সবসময় ঠাণ্ডা বা কুসুম গরম পানি মাথায় ঢালতে হবে। ফলে শ্যাম্পু করার পর চুল অনেক বেশি উজ্জ্বল আর চকচকে দেখাবে।

শ্যাম্পুর উপাদান: প্যারাবেন বা সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এই দুই রাসায়নিক মাথার ত্বকে প্রদাহ বা অ্যালার্জির কারণ হয়ে উঠতে পারে, তা ছাড়া ক্যান্সারের কারণ হিসেবেও এই দুটি রাসায়নিককে চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘ক্লিয়ার হিজাব পিওর’ শ্যাম্পুতে এই দুই উপাদান নেই।  

শ্যাম্পু লাগাতে হবে মাথার ত্বকে: অর্থাৎ প্রথমে চুলে নয় আগে ‘স্ক্যাল্প’ বা চুলের গোড়ায় শ্যাম্পু মাখাতে হবে। চুলে শ্যাম্পু লাগানোর সঙ্গে সঙ্গেই এর স্বাভাবিক তেলের আস্তরণটি নষ্ট হয়ে যায়, চুল রুক্ষ বিবর্ণ হয়ে পড়ে। তাই শ্যাম্পু শুধুমাত্র স্ক্যাল্পেই লাগাতে হয়। ভালো করে ঘষে ফেনা করে নিতে হবে। সেই ফেনাই বাকি চুলে লেগে চুল পরিষ্কার রাখবে।

শ্যাম্পুর সময় হালকা মাসাজ করুন: শ্যাম্পুতে ফেনা তোলার জন্য আঙুলের ডগা দিয়ে চুলের গোড়ায়, মাথার তালুতে কোমলভাবে মালিশ করুন। স্ক্যাল্পে জমে যাওয়া ময়লা উঠে আসবে। তাছাড়া মালিশের ফলে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন হবে, ফলে চুলের গোছও ভালো থাকবে।

অনেকক্ষণ ধরে শ্যাম্পু না করা: ভেজা অবস্থায় চুল খুব স্পর্শকাতর অবস্থায় থাকে, সামান্য এদিক ওদিক হলেই তা ভেঙে ঝরে যেতে পারে। তাই বেশিক্ষণ ধরে শ্যাম্পু করলে চুল দুর্বল হয়ে যায়। চুল ভেজানোর পর ১৫ মিনিটের মধ্যে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনিং, দুটোই সেরে ফেলতে হবে।

ডিসক্লেইমার
এটি একটি বিজ্ঞাপনী বার্তা; সংবাদ প্রতিবেদন নয়। এর কোনো কনটেন্টের দায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নয়।