প্রতিদিনের খাবার থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পন্থা

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করাও দরকার।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2021, 03:26 PM
Updated : 27 April 2021, 03:26 PM

ভারতের কিউইউএ নিউট্রিশন’য়ের প্রতিষ্ঠাতা রায়ান ফার্নান্দো স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকা এবং সুস্বাস্থ্য অর্জনের চাবিকাঠি হল শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর সেই ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে বড় কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টিহীনতা।”

তাই প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সহায়ক কিছু খাবারের নাম এখানে দেওয়া হল।

আমলকী: কয়েক শতাব্দী জুড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর একটি কার্যকর উপাদান হিসেবে বিশেষ স্থান দখল করে আছে আমলকী। এতে আছে ভিটামিন সি’য়ের প্রাচুর্য, যা শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এই শ্বেত রক্তকণিকা অসংখ্য জীবাণুর সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। পাশাপাশি আমলকী যোগায় শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

কমলা: এতেও আছে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জোর বাড়ায়। কোষকে সংক্রামক ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি ‘ইমিউন সেল’ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে ভিটামিন সি।

পেয়ারা: ভিটামিন সি তো আছেই, পাশাপাশি সর্বোচ্চ পুষ্টিকর ফলের তালিকায় প্রথমসারির সদস্য পেয়ারা। কমলাতে যে পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে তার থেকে চার ‍গুন বেশি থাকে পেয়ারায়।

শরীরে যে মুক্ত মৌল বা ‘ফ্রি র‌্যাডিকাল’ তৈরি হয় তাকে নিষ্ক্রিয় করতে কার্যকর কয়েকটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হল ‘কুয়েরসেটিন’, ‘লাইকোপেন’, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য ‘পলিফোন্স’। এদের মধ্যে কয়েকটি উপাদান মেলে পেয়ারাতে।

আদা: এতে থাকে ‘জিনজেরল’ নামক উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তি যোগায়। ভাইরাসের বংশবৃদ্ধিতে শক্ত বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই উপাদান।

রসুন: ভাইরাস, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া নাশক গুণ থাকে রসুনে। আর এর সব কৃতিত্বের মূলে আছে ‘অ্যালিসিন’ নামক উপাদান। এটাও রক্তে শ্বেত রক্তকণিকা বাড়ানোর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

হলুদ: ‘কারকিউমিন’ হল হলুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অস্ত্র। ‘কারকিউমিন’ প্রদাহনাশক গুণসম্পন্ন। ভাইরাসের আক্রমণে শরীরে যে ক্ষতি হয় তা আসলে বিভিন্ন প্রদাহ সৃষ্টিকারী ‘মলিকিউল’য়ের কারণে হয়। আর সেই ‘মলিকিউল’ ধ্বংস করাই হলো ‘কারকিউমিন’য়ের কাজ। এছাড়াও ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির গতিও কমায় এই উপাদান।

তুলসি: ঔষধি গাছ হিসেবে তুলসি বেশ সুপরিচিত। ভিটামিন সি ও দস্তা প্রচুর পরিমাণে থাকে। ফলে ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক ধ্বংস করতে তুলসি একটি শক্তিশালী অনুসঙ্গ। খালি পেটে দুই থেকে তিনটি সতেজ তুলসি পাতা খেতে পারলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়।

গোলমরিচ: ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করা এবং ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ উপাদান সমৃদ্ধ এই গোলমরিচ। আরও রয়েছে ভিটামিন সি। ফলে প্রাকৃতিকভাবে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।

আরও পড়ুন