ত্বকের কাটাছেঁড়া, ক্ষত ও ফুসকুড়ির সমস্যায় আরাম দেয়। পাশাপাশি ত্বক আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে পেট্রোলিয়াম জেলির ভিন্ন কিছু ব্যবহার সম্পর্কে জানানো হল।
মুখ ও ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা: গোসলের পরে, পা ফাটার সমস্যায় বা ঠোঁট পরিচর্যায় নানানভাবে ত্বকের যত্নে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যায়। চোখের পাপড়ি সবচেয়ে নরম অংশ, তাই এখানে জেলি ব্যবহারের সময় আলতোভাবে মালিশ করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
নখের আর্দ্রতা রক্ষা: নিয়মিত ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করার সময় নখে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে নিতে পারেন, এটা নখের ভঙ্গুরতা কমায়। এছাড়াও নেইল পলিশ ব্যবহারের আগে নখের চারপাশে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে নিলে, রং ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমে।
চোখের মেইকআপ তুলতে: মেইকআপ তুলতে মাইসেলার ওয়াটার, ‘ক্লিঞ্জিং ওয়াইপ্স’ ইত্যাদির মতো পেট্রোলিয়াম জেলিও কার্যকর। এতে থাকা তেল ত্বকের কোনো ক্ষতি ছাড়াই মেইকআপ তুলতে সাহায্য করে।
‘আইশ্যাডো’ দূর করতে পেট্রোলিয়াম জেলি তুলার বলে মেখে তা চোখের চারপাশে ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের রং থেকে সুরক্ষা: চুলে রং করার সময় কপাল, কান, গাল ও চোখের চারপাশে লেগে যেতে পারে। তাই চুলে রং ব্যবহারের আগে এসব জায়গায় পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করে নিন। এটা ত্বকে রং বসতে দেয় না ও জ্বলুনি কমায়।
শেইভিংযের পরে: ত্বকের যেকোনো জায়গায় শেইভের পর কাটাছেঁড়া দেখা দিলে তা সমাধানে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যায়। এটাকে ‘আফটারশেইভ লোশন’-এর মতো ব্যবহার করতে পারেন। যা ত্বকের ফোলাভাব, র্যাশ কমাতে সহায়তা করে।
শেইভের পর রক্তপাত হলে তা বন্ধ করতে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখলে, ভালো কাজ করে পাশাপাশি ত্বকে দেয় আরামদায়ক অনুভূতি।
আরও পড়ুন