কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যা করা যাবে না

দুগ্ধ, প্রক্রিয়াজাত ও ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাবার সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2021, 08:54 AM
Updated : 2 April 2021, 08:54 AM

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতে ভোগা মানুষের সংখ্যা মোটেও কম নয়।

পানিশূন্যতা, ভোজ্য আঁশের অভাব, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ ইত্যাদিসহ আরও অসংখ্য কারণ আছে এই সমস্যার পেছনে।

আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার কারণে যখন অস্বস্তিতে ভুগছেন তখন এমন কিছু নিশ্চয়ই করতে চাইবেন না যা সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চলাকালে করা উচিত নয় এমন কাজ সম্পর্কে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া: প্রক্রিয়াজাত খাবার যেকোনো সময়ই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। মল অপসারণে সমস্যা হচ্ছে এমন সময় সেই খাবারগুলো খাওয়া যে ভুল সিদ্ধান্ত হবে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

যেকোনো প্রক্রিয়াজাত খাবার কিংবা ‘জাঙ্ক ফুড’য়ে প্রচুর পরিমাণে চর্বি থাকে। এই চর্বি হজমপ্রক্রিয়ার গতি কমাবে, ফলে অস্বস্তি আরও বাড়বে।

এছাড়াও এই খাবারগুলোতে উচ্চমাত্রায় ‘ফ্রুকট্যান্স’ ও ‘কার্বোহাইড্রেইট’ থাকে যাতে খাবারগুলো দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। তবে সেই উপাদানগুলো খাওয়ার পর তা শরীরের হজম ক্ষমতাকে নষ্ট করে।

পাউরুটি, পাস্তা, নুডুলস ইত্যাদি প্যাকেটজাত খাবার এসময় একেবারে পরিহার করতে হবে। আর বেছে নিতে হবে ভোজ্য আঁশে ভরপুর খাবার।

অলস সময় কাটানো: কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে হওয়া শারীরিক অস্বস্তির সময়ে মন চাইবে শুয়ে বসে সময় কাটাতে। তবে তা উপকারের বদলে অপকারই করবে বেশি।

শারীরিক নড়াচড়া না থাকলে হজমতন্ত্রে খাবারের নড়াচড়াও কমে যায়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের অস্বস্তিতে ভোগা অবস্থায় হালকা ব্যায়াম করতে পারলে উপকার পাওয়া যায়। মল অপসারণ করা সহজ হবে।

সিঁড়িতে ওঠানামা বা যোগব্যায়াম এক্ষেত্রে কার্যকর।

দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া: দুগ্ধজাত যে কোনো খাবারই পেট ফোলাভাব ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি করে সাময়িকভাবে। আর ইতোমধ্যেই যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তাদের দুগ্ধজাত খাবার খেলে সমস্যার তীব্রতা বাড়াই স্বাভাবিক।

তাই এসময় দই, টক দই, দুধ, আইসক্রিম ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

অন্ত্রে ‘ল্যাকটেজ’ নামক এনজাইমের কমতি থাকলে পেট ফোলাভাব দেখা দেয়। দুগ্ধজাত খাবারের ‘ল্যাকটোজ’ ভেঙে সাধারণ শর্করায় পরিণত করা এই এনজাইমের কাজ। সাধারণ শর্করায় পরিণত হলে তা ক্ষুদ্রান্ত্র সহজে গ্রহণ করতে পারে।

ব্যথানাশক ওষুধ সেবন: ‘পেইনকিলার’ বা ব্যথানাশক ওষুধ কোষ্ঠকাঠিন্যের অস্বস্তি বাড়ায়। কারণ এই ওষুধগুলো হজম প্রণালীর সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতাকে দুর্বল করে। ফলে মল প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ব্যথানাশক ছাড়াও কিছু ওষুধ একই সমস্যার সৃষ্টি করে।

তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যে কোনো ওষুধ সেবনের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন: কোষ্ঠ্যকাঠিন্যে প্রধান কারণ হল শরীরে পানির অভাব। আর অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন দুটোই শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে।

অ্যালকোহল ‘ডাই-ইউরেটিক’ অর্থাৎ তা মুত্রতন্ত্রের সাহায্য নিয়ে রক্ত থেকে তরল অপসারণ করতে পারে।

তাই অ্যালকোহল সেবনের পর পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীর হয়ে যেতে পারে পানিশূন্য। ক্যাফেইন’য়েরও একই বৈশিষ্ট্য আছে।

তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়াতে এসব থেকে দূরে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন