নিয়মিত যত্ন নিলে কালচেভাব, বলিরেখা, চামড়ায় ভাঁজ পড়ার সম্ভাবনা কমে।
Published : 23 Mar 2021, 11:43 AM
বয়স, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, মানসিক ও কাজের চাপ এমনকি অধিকাংশ সময় কম্পিউটার ও মোবাইলের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের চারপাশের কালচেভাবের সৃষ্টি হয়। পড়ে বলিরেখা।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে চোখের চারপাশের ত্বক ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
চোখ কচলানো এড়ানো: চোখের চারপাশে ত্বক ঘষলে সঙ্গে সঙ্গেই তার নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেয় ত্বকে। মানসিক চাপ অনুভব ও কাজের চাপ বা কম্পিউটার ও মোবাইলের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকা চোখের অস্বস্তি সৃষ্টি করে। তখন চোখের বিশ্রামের জন্য মনিটর থেকে চোখ সরিয়ে বা কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখুন। ভুল করেও চোখ ঘষবেন না। চোখ ঠাণ্ডা করতে ও আর্দ্র রাখতে পানি বা গোলাপজলের ঝাপটা দিন। এতে চোখের খচখচেভাব খানিকটা কমে আসবে।
আই ক্রিম ব্যবহার: চোখের নিচের অংশের জন্য আই ক্রিম উপকারী। কারণ এখানকার ত্বক অন্যান্য জায়গার চেয়ে আলাদা। এই স্থান আর্দ্রতার অভাবে নির্জীব হয়ে পড়ে। তাই শুষ্ক অনুভব করলে চোখের নিচে আই ক্রিম বা জেল ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত চোখের নিচের ত্বক আর্দ্র রাখা চোখের তারুণ্য ফোটাতে সাহায্য করে।
জেড রোলার: রূপচর্চার এই সামগ্রী মুখের ত্বক মালিশ করার জন্য উপকারী। চোখের চারপাশে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করলে তা আলতো হাতে প্রয়োগ করতে হয়। জোরে আঘাত লাগলে এই স্থান আরও নির্জীব হয়ে পড়ে ও কালচে দেখায়। এক্ষেত্রে, জেড রোলার ব্যবহার নিরাপদ। চাইলে সাধারণ জলপাইয়ের তেল ও জেড রোলার ব্যবহার করে চোখের নিচের ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন।
রেটিনল: ক্ষয় পূরণ ও ক্ষয় রোধ করতে রেটিনল কার্যকার। এই উপদান বয়সের ছাপ কমায় ও অন্যান্য উপাদানের চেয়ে দ্রুত কাজ করে। ত্বকের ধরন ভেদে কাজ করতে রেটিনল এক থেকে দুইমাস সময় নেয়। রাতে চোখের চারপাশ ও পুরো মুখের ত্বকেই রেটিনল ক্রিম বা জেল ব্যবহার করা ভালো।
গ্রিন টি ব্যাগ: চোখের চারপাশের ত্বক উজ্জ্বল করতে টি বাগ উপকারী। টি ব্যাগ ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে তা দিয়ে চোখ ও চোখের চারপাশের ত্বকে ১০ মিনিট রাখুন। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের চারপাশের কালো দাগ কমায় ও সতেজভাব আনে।
আরও পড়ুন