অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক থেকে বের না হতে পারার কারণ

সম্পর্কে অশান্তি তো কমছেই না, বরং দিন দিন বাড়ছে। অথচ এই বিষাক্ত সম্পর্ক শেষও করতে পারছেন না।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2021, 11:57 AM
Updated : 11 March 2021, 11:57 AM

বরং বাড়ছে মানসিক চাপ।

এই ধরনের সমস্যায় পড়েও অনেকেই সেই সম্পর্কের মায়াজাল থেকে বের না হয়ে আসার অনেক কারণ থাকতে পারে।

সম্পর্ক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে সম্পর্ক বিরক্তিতে পরিণত হওয়ার পরও তা থেকে বের হতে না পারার কয়েকটি কারণ সম্পর্কে জানানো হল।

হারিয়ে ফেলার ভয়: কাউকে হারিয়ে ফেলার ভয় মানুষকে আরও দ্বিধাগ্রস্ত ও মানসিক চাপের সৃষ্টি করে। সঙ্গীকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবেলেই যদি মনে হয় যে, “তিনিই আপনার জীবনের একমাত্র অবলম্বন”, “আমি কোনো ভুল করছি না তো”। বা “তাকে ছাড়া জীবনে আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না” ইত্যাদি।

এসব চিন্তা মানুষের মাঝে আরও উন্মাদনা বাড়ায় এবং ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা বাড়ায়। এর থেকে সৃষ্টি হয় সঙ্গীকে আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টা যা সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়।

একা হওয়ার ভয়: অন্য একজনের কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারেন- যার অর্থ একা হওয়ার ভয় কাজ করা।

ফলে সঙ্গী ভালো না বা আশানুরূপ না হওয়ার পরেও তার সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন। আশঙ্কা কাজ করে আর হয়ত কাউকে পাবেন না।

মনে রাখবেন, কেউ না কেউ অবশ্যই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, হয়ত তাকে এখনও খুঁজে পান-নি। কিন্তু নিশ্চয়ই তাকে পাবেন।

তবে তাকে খুঁজে পাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই এমন বিষাক্ত ও বিরক্তিকর সম্পর্কে থেকে বের হতে হবে। নিজের ভালোর জন্যই।

অভ্যাসে পরিণত হওয়া: সঙ্গীর আচার আচরণ খারাপ হওয়ার পরেও তাতে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া, সম্পর্ক বজায় রাখতে আপনি প্রাপ্য নন এমন আচরণের সঙ্গেও নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়া বা আগের অসমাপ্ত কোনো সমস্যা মেনে নিয়ে সম্পর্ক রক্ষা করে যাওয়া- যা কিনা অভ্যস্ততার লক্ষণ।

অনিশ্চয়তা: অনিশ্চয়তাবোধ নিজের যোগ্যতা কমায়। যদি মনে করেন, আপনি খারাপ তাহলে অন্যের কাছ থেকেও এর ব্যতিক্রমটা অনুভব করতে পারবেন না। ভালো থাকতে প্রথমে নিজেকে ভালোবাসতে হবে ও নিজের ওপর ভরসা রাখতে হবে। অন্যরা এমনিতেই আপনাকে ভালোবাসবে।

আসল বিষয় হল

বিষাক্ত কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে থাকলে তা থেকে বের হয়ে আসুন এবং নিজেকে সময় দিন, প্রকৃতির কাছে যান। পাহাড়, সাগর মনে শান্তি ফিরিয়ে আনে। সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা নিয়ে মন খারাপ করবেন না। বরং বের হয়ে আসতে পেরেছেন সেটাই বড় বিষয়।

ভালো থাকতে পেছনের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকেই এগিয়ে যান।

আরও পড়ুন