বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে ২৬ এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি এই আয়োজন করা হয়।
ভারতীয় দূতাবাসের সহযোগিতায়, ‘এডুকেশন এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠান’য়ের আয়োজনে ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এই এডুকেশন মিট’য়ে ভারতের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কুল অংশগ্রহণ করে বলে রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এর আগে শুক্রবার ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচীর আওতায় আয়োজিত ‘এডুকেশন মিট- ২০২১’ উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের উপরাষ্ট্রদূত বিশ্বদীপ দে। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচীর বিভাগী প্রধান সন্দীপ গোয়েল, এডসিলের নির্বাহী পরিচালক ড. ঊত্তম বি সাপাতি এবং এডুকেশন এক্সিলেন্সের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামিরা ফারহাত আমিন।
সন্দীপ গোয়েল বলেন, “বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতে যে সুবিধা রয়েছে সেখানে, প্রতিবেশী বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য একটু বিশেষ হবে।”
ড. উত্তম বি সাপাতে কথায়, “এখানে বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য দুই হাজারের বেশি শিক্ষাবৃত্তি রয়েছে। বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা অবশ্যই সে বৃত্তি পাবেন।”
ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়া ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচীটি বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদেরকে ভারতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে উৎসাহ প্রদান করে আসছে।
সামিরা ফারহাত আমিন বলেন, “বাংলাদেশের যে সকল শিক্ষার্থী ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচীর সদস্যের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে চায়, তাদের জন্য এই আয়োজন একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে।”
আয়োজকদের ভাষ্য আনুযায়ী, উচ্চ শিক্ষায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সনদ অর্জনে ভারতের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের এই মেলা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আয়োজকরা জানান, প্রকৌশল, ব্যাবসায় প্রশাসন, উদীয়মান প্রযুক্তি, আইন এবং মানবিক অন্যান্য বিষয়ে ২৬০০ এর অধিক কোর্সে শিক্ষাবৃত্তিসহ ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ রয়েছে ভারতে।
‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচীতে যুক্ত একশ’র অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিডেশন কাউন্সিল(এনএএসি) এবং ন্যাশনাল ইন্সটিউটশনাল র্যাংকিং ফ্রেমওয়ার্কের (এনআইআরএফ)-এর মাধ্যমে ভারত সরকারের স্বীকৃতি প্রাপ্ত।
ভারতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এক লক্ষ আসন রয়েছে। যার মধ্যে মেধাবীরা দুই হাজারের বেশি শিক্ষাবৃত্তি এবং ৬০ হাজারের সুবিধা নিতে পারবেন টিউশন ফিতে। এখানে রয়েছে ২৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড়ের সুযোগ।
ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একজন বিদেশী ছাত্রের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫০০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বার্ষিক শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকে। এর মধ্যে টিউশন ফি, হোস্টেল এবং মেস ফি অন্তর্ভূক্ত।