সুখী সম্পর্কের ৫ চিহ্ন

আসলে কেউ সুখী নয়। তবুও ভালোবাসার সম্পর্কে কিছু চিহ্ন সুখের পৃথিবী বানায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2021, 02:30 PM
Updated : 12 May 2021, 03:25 PM

সম্পর্ক গড়ার চাইতে রক্ষা করা কঠিন। আর এই কঠিন কাজটা অনেকটাই সহজ হয় দুজনের প্রচেষ্ঠায়।

প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্কে টানাপোড়েন থাকবেই। তবে এর মাঝেও কিছু বিষয় থাকে যা সুখী সম্পর্কের সাধারণ চিহ্ন হিসেবে ধরা।

ইনসাইডার ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ভালোবাসার সম্পর্ক সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও শান্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানানো হল। 

নিজস্বতা: অধিকাংশ সম্পর্কেই দেখা যায় যে, দম্পতিদের পছন্দ অপছন্দগুলো ধীরে ধীরে একে অপরের প্রতি নির্ভর্শীল হয়ে পড়ে। অবচেতন মনেই তারা একে অপরের প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠেন।

তবে সঙ্গীর পছন্দের ‍গুরুত্ব দিতে গিয়ে নিজস্বতা হারাতে বসলে ধীরে ধীরে একঘেয়েমিতা বাসা বাঁধে সম্পর্কে। আর তা বিষাক্ত হয়ে ওঠে। একে অপরের প্রতি নির্ভর্শীল হয়ে যাওয়ায় তা অনেক ক্ষেত্রে বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে।

সুখী দাম্পত্যে নিজের ব্যক্তিত্ব ও দক্ষতা বিকাশের গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করে। আর নিজের পরিচিতিকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করে।

দুর্বলতা গ্রহণ করা: অধিকাংশ মানুষই নিজের দুর্বলতা অন্যের কাছে প্রকাশ করতে দ্বিধা ও ভয় পায়। কেননা, নিজের দুর্বলতা অন্যের কাছে প্রকাশ পেলে তা পরে কষ্টের কারণ হতে পারে অথবা অন্যে কী ভাববে তা নিয়েও মনে শঙ্কা জাগতে পারে।

যে সব দম্পতি এই সকল ভয় কাটিয়ে উঠতে পারে এবং একে অপরের দুর্বলতা সহজে মানিয়ে নিতে পারে তাদের সম্পর্কে বিশ্বাসে দৃঢ়তা বজায় থাকে। মনে রাখতে হবে, যে আপনাকে ভালোবাসে ও আপনার জন্য উপযুক্ত। সে সকল অবস্থাতেই আপনাকে ভালোবাসবে ও সাদরে গ্রহণ করবে।

অনিশ্চয়তার কোনো ঝুঁকি নেই: সুখী দম্পতিরা বরাবর একটা নিয়ম মেনে চলে। আর তা হল একে অপরের কাছে সব খুলে বলা। একে অপরকে সব বলার সাহস রাখা এবং একে অপরকে জানার বিষয়কেও গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। সম্পর্কে কারোরই অনিশ্চিত বিষয়ের ক্ষেত্রে সময় নষ্ট করা উচিত না। উপযুক্ত সঙ্গী সম্মানের সঙ্গে আপনার সব কথা শুনবে এবং নিজের বিষয়ও আপনার কাছে খোলামেলাভাবে উপস্থাপন করবে।

প্রতিজ্ঞা রক্ষা করা: সুখী দম্পতিরা অধিকাংশ সময়েই নিজের করা প্রতিজ্ঞা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে থাকেন। এতে তাদের সম্পর্কে আরও দৃঢ় হয়। প্রতীজ্ঞা রক্ষা কেবল নিজের ব্যক্তিত্বের প্রতিই সম্মান বাড়ায় না বরং সম্পর্ককেও জীবিত রাখতে সাহায্য করে। সুখী যুগলরা নিজেদের করা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে জানেন এবং এই বিষয়ে সচেতন থাকেন যেন কোনো কিছুর মূল্যেই তা না ভাঙে।

যৌনতাই সব কিছুর সমাধান নয়: আধুনিক সংস্কৃতিতে দাম্পত্য কলহের সমাধান হিসেবে যৌন সম্পকর্কে চাবিকাঠি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়, যা সত্যি নয়। সমস্যার দ্রুত সমাধান হিসেবে যৌন সম্পর্ক বেছে নেওয়া ভুল উপায়।

সমস্যার সমাধান করতে একে অপরের সঙ্গে কথা বলা, যোগাযোগ করা প্রয়োজন। যারা এটা করতে পারে তারা সম্পর্কে সুখীও হয়। ভুল বোঝাবুঝি বা মান-অভিমান দূর না করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করাও যায় না। যৌনতা আর যাই হোক ঝগড়া থামায় না।

আরও পড়ুন