৫ ফেব্রুয়ারি আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনের ব্যাঙ্কয়েট হলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ.মান্নান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, এমপি, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জাবেদ আহমেদ, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি ইব্রাহীম খলিল।
বিটিইএ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপরের অতিথীরা ছাড়াও গেস্ট অব অনার হিসাবে ছিলেন কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনের উরেইয়া, বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাসুদ এ. খান। টোয়াব’য়ের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট শিবলুল আজম কোরেশি, বিডি ইনবাউন্ড এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট আর. এম.জি.নাসির মজুমদার, ইউরোমেড ইএমআরবিআই-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রফেসর মো. শাহরিয়ার পারভেজ এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম অ্যান্ড এভিয়েশন মিডিয়া ফোরামের সভাপতি কাজী রহিম শাহরিয়ার।
অনুষ্ঠানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সরকারী ও বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিগণ একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রিতে এটি একটি বিরল ঘটনা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিটিইএ-এর ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান জায়েদী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটনের সকল স্ট্যাকহোল্ডারদের অর্থাৎ পর্যটন ব্যবসায়ী, পরিবহণ, হোটেল/রিসোর্ট, রন্ধন শিল্পী, রেস্টুরেন, পর্যটন সাংবাদিক, শিক্ষক গবেষক সবাইকে একটি প্লাটফর্মে এনে পর্যটন উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যেই বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের সৃষ্টি।‘
পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রেষণা দেওয়ার লক্ষ্যে ৮টি খাতে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
পর্যটন মধ্যস্থতাকারী খাতে ‘সুন্দরবন ওয়ান্ডার্স ট্যুরিজম’, ‘আল-আখওয়ান ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস’ ও ‘দূর্বার বাংলা ট্যুরিজম’। খাদ্য ও পানীয় খাতে ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইন্সটিটিউট (আইসিআই)। পর্যটন শিক্ষা খাতে ‘আপডেট কলেজ’ ও ‘ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট’। পর্যটন তথ্য প্রযুক্তি খাতে ‘অতিথি ডট কম’। পর্যটন বিনোদন খাতে ‘ম্যাজিক প্যারাডাইজ পার্ক’। পর্যটন গণমাধ্যম খাতে মাই ট্যুরিজম/মাই টিভি। এবং পর্যটন শিল্পে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনকে‘ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
সমাপনী বক্তব্যে বিটিইএ-এর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর বাংলাদেশের ট্যুরিজম নানা সমস্যায় জর্জরিত উল্লেখ করে এই সমস্যা নিরসনে ৬টি দাবি উত্থাপন করেন
দাবি ১: সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পর্যটন বিস্তারের ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে।
দাবি ২: যুবা নারী-পুরুষকে প্রত্যক্ষভাবে পর্যটনের দায়িত্ব অর্পন করতে হবে।
দাবি ৪: পর্যটনে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধির জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
দাবি ৫: পর্যটন রপ্তানির জন্য উৎস দেশ অনুসন্ধান ও সে সব দেশে রপ্তানি নিশ্চিত করতে হবে।
দাবি ৬: বাংলাদেশকে একটি পর্যটনবান্ধব রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে হবে।
তিনি সকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হয়ে একসঙ্গে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন।
বক্তব্য শেষে তিনি বিটিইএ-এর সদস্যদের সদস্য সনদ প্রদান করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।