আবেগপ্রবণ হওয়ার উপায়

অতি আবেগ ভালো নয়। তবে সম্পর্কে আবেগ অনুভূতির প্রয়োজনও রয়েছে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2021, 03:31 PM
Updated : 10 Feb 2021, 03:31 PM

একজন অনুভূতিসম্পন্ন আবেগপ্রবণ মানুষের প্রতি আকর্ষণ বোধ করাই স্বাভাবিক। আর এই গুণ যাদের রয়েছে তাদের সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতাও বেশি।

নিজের আবেগ-অনুভূতি দিয়ে কীভাবে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়া যায়, সেটাই জানানো হল সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।

না বলতে শেখা: গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় সবাই সম্পর্কে একটা নির্দিষ্ট সীমানা পছন্দ করেন। তার মানে এই নয় কঠিন মানুষকে পছন্দ করবে। তবে যারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজের সীমার মধ্যে থাকে আর যা চাইবে তাই মেনে নেবে- এরকম করে না, তাদের প্রতি আকর্ষণ কাজ করে।

একজন অনুভূতিপ্রবণ মানুষ সবসময় জানিয়ে দেবে কোনটা তার পছন্দ আর কোনটা নয়। নিজের চাওয়াটা সম্মান করার পাশাপাশি অন্যের চাওয়া পাওয়া ও বিশ্বাসের প্রতিও আস্থা রাখা শিখতে হবে।

নেতিবাচক গল্প এড়ানো: অন্যের সম্পর্কে কুট কথা ‍শুনতে আমাদের ভালোই লাগে। নিজেরাও এরকম আলাপ করে থাকি। তবে নেতিবাচক আলাপ শুরু আগে ভাবুন তো, যার সঙ্গে এরকম আলাপ করতে যাচ্ছেন সে তো ভাবতেও পারে তার অবর্তমাণে আপনি তাকে নিয়েও এরকম গল্প জুড়তে পারেন অন্যদের সঙ্গে।

তাই মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, আবেগপ্রবণ মানুষ হতে চাইলে অন্যের সম্পর্কে নেতিবাচক আলাপ ‍শুরু আগে অন্তত দুবার ভাবুন। তাই নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য কখনও কুট-কথা বলা ঠিক না। আর কাউকে নিয়ে একান্তই যদি নেতিবাচক আলাপ করতে হয় তবে সেটা যেন অতিরঞ্জিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ছোটখাটো বিষয় মনে রাখা: আপনার সম্পর্কে ছোটখাটো বিষয় যদি কেউ মনে করে বলে, সেটা শুনতে নিশ্চই ভালোলাগে। অন্যদেরও সেরকম ভালোলাগে। একজন আবেগীয় আকর্ষণীয় মানুষ অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে। কথা বলার সময় অপর ব্যক্তিকে এমন অনুভূতি দেওয়ার চেষ্ট করুন, যাতে তার মনে হয় আপনার পৃথিবী ঘিরে রয়েছে একমাত্র সে। এই গুণ অন্যের কাছে সবসময়ই আকর্ষণীয়।

সময় রক্ষা করা: যদি দেরি করেন তবে সঙ্গী মনে করতেই পারে, আপনার কাছে তার গুরুত্ব কম। তাই অনুভূতিপ্রবণতায় আকর্ষণ করতে চাইলে সঙ্গীর সময়কে দাম দিন। আর সময়মতো উপস্থিত হন।

ছাড় দেওয়া: যখন প্রয়োজন তখন সঙ্গী বা বন্ধুদের কাছে পাওয়া সত্যিই দারুণ ব্যাপার। এটাও একটা আবেগীয় গুণ। তবে সম্পর্কে থাকলে সঙ্গীকে অনেক সময় ছাড় দিতে হয়। সেটা তার নিজস্বতার জন্যই। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘স্পেস’ দেওয়া। আর তার এই ‘স্পেস’টাকে সম্মান করতে জানতে হবে।

সঙ্গীকে বুঝতে দিন, যখন তার দরকার হবে আপনি তার পাশে থাকবেন। আবার তাকে এটাও বুঝিয়ে দিন, তার নিজস্ব সময়ে সে যা করে খুশি থাকুক না কেনো, তাতে আপনার সমর্থণ থাকে।

ছাড় দেওয়ার মধ্য দিয়ে অন্যকে দেখানো যায় যে, আপনি নিজেকেও মূল্য দিতে জানেন।

ছবি: সৌজন্যে রঙ বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন