লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধির খাবার

লোহিত রক্ত কণিকার অভাবে দুর্বল লাগা ও জ্ঞান হারানোর সমস্যাও দেখা দেয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2020, 08:26 AM
Updated : 13 Dec 2020, 08:26 AM

পর্যাপ্ত ঘুম হওয়ার পরেও ক্লান্তি অনুভূত হওয়া কিংবা দিনের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎই নিস্তেজ অনুভব করা হতে পারে ‘অ্যানেমিয়া’ বা রক্ত শূন্যতার পূর্বাভাস।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার অভাব।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল এই রোগ এবং লোহিত রক্ত কণিকা বাড়ায় এমন খাবার সম্পর্কে।

‘রেড ব্লাড সেল (আরবিসি)’ অর্থাৎ লোহিত রক্ত কণিকার কাজ হল শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া।

তাই এই রক্ত কণিকার সংখ্যা কমে গেলে অক্সিজেন সরবরাহের কাজটি কঠিন হয়ে যায়। এতে মানসিক হতাশা দেখা দিতে পারে, জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে।

লোহিত রক্ত কণিকা বাড়ানোর সহজ উপায় হল খাদ্যাভ্যাসে এমন খাবার রাখা যা ‘আরবিসি কাউন্ট’ বাড়ায়।

লৌহ সমৃদ্ধ খাবার: শরীরে আয়রনের অভাব থেকেই সবচাইতে বেশি মানুষকে ‘অ্যানেমিয়া’তে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তাই আয়রন বা লৌহ যোগায় এমন খাবার খাদ্যাভ্যাস থাকা চাই পর্যাপ্ত পরিমাণে।

এই খনিজ পুষ্টি উপাদান ‘হিমোগ্লোবিন’য়ের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। ‘হিমোগ্লোবিন’ হল এক ধরনের প্রোটিন যা লোহিত রক্ত কণিকায় পাওয়া যায়।

আর এর মাত্রা বাড়লে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যাও বাড়ে।

লৌহের উল্লেখযোগ্য উৎসের মধ্যে আছে মাংস, ডিম, মটর ও শুঁটি ধরনের সবজি, শুকনা ফল ইত্যাদি।

ফোলেট: ভিটামিন বি’য়ের একটি ধরন হল এই ‘ফোলেট’ যা লোহিত ও শ্বেত রক্ত কণিকা তৈরির উপাদান। ‘ফোলেট’য়ের ‘সাপ্লিমেন্ট’কে বলা হয় ‘ফোলিক অ্যাসিড’।

‘ফোলেট’ থেকে শরীরে তৈরি করে ‘হেম’, যা আবার ‘হিমোগ্লোবিন’ উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। এই উপকরণের অভাব হলে লোহিত রক্ত কণিকা পরিণত অবস্থা পায় না।

‘ফোলেট’য়ের উৎসের মধ্যের আছে পালংশাক ও অন্যান্য পত্রল শাকসবজি, ডাল, মটরশুঁটি ইত্যাদি।

ভিটামিন বি টুয়েলভ: লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনকালে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন বি টুয়েলভ না থাকবে রক্ত কণিকার অস্বাভাবিক বিকাশ ঘটে। ব্যহত হয় এর বেড়ে ওঠা। একে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ‘মেগালোব্লাস্টিক অ্যানেমিয়া’।

‘ভিটামিন বি টুয়েলভ’য়ের উৎস হল দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার; অন্যান্য প্রাণিজ খাবার যেমন- মাছ, মাংস, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি।

কপার: লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে এর সরাসরি ভূমিকা না থাকলেও এই রক্ত কণিকার আয়রন বা লৌহ গ্রহণে সহায়তা করে খনিজ উপাদান কপার বা তামা। আয়রন লোহিত রক্ত কণিকার বিভাজনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে, যার অভাবে এই রক্ত কণিকার পুরো উৎপাদন প্রক্রিয়াই থমকে যেতে পারে।

কপার পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছ, চেরি ফল ও অন্যান্য মাছ থেকে।

ভিটামিন সি: এটিও লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদনে সরাসরি ভূমিকা রাখে না, বরং আয়রন বা লৌহ গ্রহণে সাহায্য করে। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে লৌহের চাহিদা মেটানোর সময় ভিটামিন সি পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে উপস্থিত থাকা অত্যন্ত জরুরি।

আরও পড়ুন