ওজন না কমার যত কারণ

শত চেষ্টার পরেও আশানুরুপ ওজন না কমার কারণ থাকতে পারে অনেক।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2020, 02:48 PM
Updated : 5 Nov 2020, 02:48 PM

ওজন কমানোর সকল নিয়মাবলি ঠিক মতো মানার পরও আশানুরূপভাবে ওজন কমছে না? তাহলে হয়ত ঘাটতি রয়ে গেছে প্রচেষ্টাতে অথবা মানা হচ্ছেনা সঠিক পদ্ধতি।

স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ওজন কমানোর পদ্ধতিকে সক্রিয় রাখার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।

* খাবারে স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট ওজ়ন বৃদ্ধি করে না। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ মিহশটী জাতীয় খাবার গ্রহণ ওজন বৃদ্ধি করে। তাই খাবার থেকে সরল কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে জটিল যৌগের কার্বোহাইড্রেট রাখুন।

* কী খাওয়া হচ্ছে তার দিকে খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যদি ওজন হ্রাস স্থির হয়ে পড়ে তাহলে হতে পারে খাবার গ্রহণ বেশি হচ্ছে। খাবার গ্রহণের প্রতি সচেতনতা ভালো ফলাফল দেবে।

* প্রোটিন কম গ্রহণ করা হলে ওজন কমার পরিমাণ কমে যেতে পারে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে দুধ, দুধের তৈরি খাবার, ডিম, মুরগির মাংস, মাছ ইত্যাদি খাবারে যুক্ত করুন।

* প্রক্রিয়াজাত ও পরিশোধিত খাবার এড়িয়ে চলুন এটা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।

* ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালে স্বাস্থ্যকর নাস্তা খান। দিনের অন্যান্য সময়ে ক্ষুধা কমাতে অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝোঁকা ঠিক নয়। সারাদিন বার বার খাবার খাওয়ার প্রয়োজন নেই। খাবার তালিকায় সময় সূচি অনুসরণ করে দিনে কমপক্ষে চারবার অর্থাৎ- সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকালে হাল্কা নাস্তা ও রাতের খাবার গ্রহণ করা উপকারী। 

* প্রতিদিন কমপক্ষে দুটি ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সকালে ফল খাওয়াকে দিনের একটা ভালো সূচনা বলা যেতে পারে। খাবারের সঙ্গে বা খাবারের পরে ফল খাওয়ার প্রয়োজন নেই। ফলকে দুই বেলার খাবারের মাঝে নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন।

* রাতে তাড়াতাড়ি খাবার খান। ভারী খাবার ও মিষ্টি-জাতীয় খাবার রাতে না খাওয়াই ভালো। খাওয়ার সময় সঠিকভাবে চিবিয়ে ও ধীরে খান, এতে হজম দ্রুত হবে।

* চর্বি কমাতে সহায়তা করে এমন শরীরচর্চা নিয়মিত করুন। ওজন না কমার পেছনে শরীরচর্চা ভূমিকা রাখে। ওজন কমাতে খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।

* পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে। পানি পান ওজন কমাতে সহায়ক। ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমাতে প্রতিবেলার খাবারের আগে এক গ্লাস পানি পান করুন।

* দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে পরে একবারে বেশি খাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে এবং ক্যালরি বেশি জমা হয়। ক্যালরির পরিমাণ কমাতে প্রতিদিন খাবার তালিকা থেকে পরিশোধিত শস্য ও মিষ্টি-পানীয় বাদ দিন। তবে খাওয়া একেবারেই বাদ দেবেন না।

* পিসিওডি, পিসিওএস, থাইরয়েড সমস্যা এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো  সমস্যা ওজন কমানোতে বাধার সৃষ্টি করে এমনকি অনেকক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধি করে। এছাড়াও খাবারের কিছু লুকায়িত অ্যালার্জি উপাদান ওজন কমানোতে বাধার সৃষ্টি করে থাকে।

* ওজন কমানোর জন্য মনোযোগ দিয়ে খাওয়া আবশ্যক। খাওয়ায় অমনোযোগিতা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে বাধার সৃষ্টি করে।

প্রত্যেকটা মানুষই আলাদা তাই ওজ়ন কমানোর পদ্ধতিও প্রত্যেকের ক্ষেত্রে আলাদা। তাই নিজের সুবিধা মতো ও উপযুক্ত পদ্ধতি বাছাই করে নিন।

* তবে খেয়াল রাখতে হবে, সাময়িকভাবে ওজন কমায় এমন পদ্ধতি নিরাপদ নাও হতে পারে। তাই, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। যা শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।

* ওজন কমাতে চাইলে ও দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে চাইলে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভ্যাস্ত হতে হবে। নতুন বা জটিল খাবার রান্না না করে সজীব ও পুষ্টিকর উপাদানের খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

আরও পড়ুন