এ সময়ের পড়ালেখা ও শিশুর মানসিক উন্নয়ণ- বিষয়ক গবেষণা প্রকাশ

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির সার্বিক নির্দেশনা ও পরামর্শ ক্রমে রুম টু রিড যৌথভাবে এই গবেষণা পরিচালিত করে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2020, 07:29 AM
Updated : 3 Nov 2020, 07:29 AM

করোনাভাইরাস-প্রকোপ পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ের শিখন ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বিষয়বস্তু হ্রাস করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির সার্বিক নির্দেশনা ও পরামর্শ ক্রমে রুম টু রিড যৌথভাবে ‘করোনা মহামারীতে শিক্ষার্থীদের শিখন-ঘাটতি পূরণ: বাংলা বিষয়ের শিখনফল পর্যালোচনা এবং বিষয়বস্তু নির্ধারণ’ বিষয়ক একটি গবেষণা পরিচালিত করে।

‘রুম টু রিড বাংলাদেশ’য়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল- প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ের শিখন-ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক অর্জন-উপযোগী যোগ্যতা বিশ্লেষণ করে অগ্রাধিকারমূলক যোগ্যতাসমূহ নিরূপণ এবং তদ্সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তু নির্ধারণ।

সেই সঙ্গে বাংলা বিষয়ের জন্য রিমেডিয়াল প্যাকেজ তৈরি করা যাতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় পুনরায় খোলার পরে অবশিষ্ট কার্যদিবসে শ্রেণিভিত্তিক অর্জন-উপযোগী যোগ্যতাসমূহ অর্জন করতে পারে।

গবেষণাটির মোড়ক উন্মোচন, গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল প্রকাশ ও সুপারিশমালা উপস্থাপনের জন্য ২৮ অক্টোবর রাত ৮টায় একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করা হয় যা ‘রুম টু রিড বাংলাদেশ’য়ের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, মহাপরিচালক (গ্রেড ১), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. শাহ্ আলম, মহাপরিচালক, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী (নেপ) এবং প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা, চেয়ারম্যান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন রাখী সরকার, কান্ট্রি ডিরেক্টর, রুম টু রিড বাংলাদেশ।

এছাড়াও, সম্মেলনে যোগদান করেন জাতীয় ও মাঠ পর্যায়ের সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষানুরাগি এবং আন্তর্জাতিক/জাতীয় উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং রুম টু রিড বাংলাদেশ এর কার্যক্রম পরিচালিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।

গবেষণাপত্রটি উপস্থাপনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শাহ্ শামীম আহমেদ।

শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকসমূহ পর্যালোচনা এবং মাঠপর্যায়ের তথ্য-উপাত্ত্বের ভিত্তিতে গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের যথার্থতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

দেখা যায়, করোনাভাইরাসের-প্রকোপ পরবর্তী সময়ে শ্রেণিভিত্তিক বাংলা বিষয়ে অগ্রাধিকারমূলক শিখনফলের তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ‘শোনা’, ‘বলা’, ‘পড়া’ ও ‘লেখা’র ভাষাদক্ষতার এই চারটি ক্ষেত্রে শুধু ‘অবশ্যই শিখনীয়’ হিসেবে নির্ধারিত শ্রেণিভিত্তিক অর্জন-উপযোগী যোগ্যতাসমূহকে গবেষণা প্রতিবেদনে শ্রেণিভিত্তিক উপস্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়াও, সম্মেলনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির সরকারি, কর্মকর্তাবৃন্দ ও মাঠ পর্যায়ের সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, আন্তর্জাতিক/জাতীয় উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ গবেষণাটির উপর মতামত রাখেন ও কিছু সুপারিশ প্রদান করেন।

সর্বশেষে সম্মানিত অথিতিবৃন্দ করতালির মাধ্যমে গবেষণা পত্রটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

রুম টু রিড একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা যা বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২টি দেশে শিশুদের শিক্ষা সহায়তায় কাজ করে আসছে। সংস্থাটি ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে ‘সাক্ষরতা কর্মসূচি’ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ‘মেয়েশিশুদের শিক্ষা সহযোগিতা কার্যক্রম’- এর আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে রুম টু রিড বাংলাদেশ অনুমোদনক্রমে ঢাকা, নাটোর, কক্সবাজার ও সিরাজগঞ্জ জেলায় কাজ করছে।