ঋতুর পরিবর্তনে কাপড়ের যত্ন

পরা হচ্ছে না অনেকদিন এরকম পোশাক আলমারিতে থাকলেও নষ্ট হতে পারে।

তৃপ্তি গমেজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2020, 01:38 PM
Updated : 1 Nov 2020, 01:38 PM

বদল হচ্ছে আবহাওয়া, বাতাসের আর্দ্রতাতেও দেখা দিচ্ছে পরিবর্তন। আবার মহামারীর কারণে মানুষের পোশাকের তন্তু নির্বাচনেও এসেছে পরিবর্তন।

বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত সবাই এখন এমন পোশাকই বেছে নিচ্ছেন যেন তা বাসায় ফিরেই সহজেই ধুয়ে ফেলা ও শুকানো যায়।

এমনটা বহুদিন ধরে চলতে থাকায় দেখা গেছে একই ধরনের পোশাক বেশি পরা হয়েছে। আর অধিকাংশ পোশাকই অব্যবহৃত রয়ে গেছে। যার অধিকাংশই এবার শীতেও ব্যবহার করা হবে না। বলা যায়, অনেকটা সময় এই ধরনের কাপড় অব্যবহৃত রয়ে যাবে।

সঠিক উপায়ে কাপড় সংরক্ষণ করা না হলে তা উজ্জ্বলতা হারাতে পারে। এছাড়াও পোকার আক্রমণও নষ্ট করে দিতে পারে কাপড়ের বুনন।

এমন ক্ষেত্রে কাপড়ের যত্ন নেওয়া বিষয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের তন্তু ও বয়ন শিল্প বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহমিনা রহমান।

তিনি বলেন, “বৃষ্টিভাব ও সামনে আসছে শীত। তাই এই সময়ে অব্যবহৃত কাপড়গুলো যত্নে রাখার জন্য প্রথমে রোদে দিয়ে নিতে হব। এরপর যেস্থানে তা সংরক্ষণ করা হবে তা ভালো মতো পরিষ্কার করে নিতে হবে। আরস্থানটি যেন শুষ্ক হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।”

আর্দ্র বা স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে কোনোভাবেই কাপড় সংরক্ষণ করা ঠিক নয়। এতে কাপড়ে দুর্গন্ধ হওয়ার পাশাপাশি পোকার আক্রমণেরও ঝুঁকি থাকে।

“কাপড়গুলোকে মাঝেমধ্যে একটু রোদে দিলে এর তন্তুগুলো ভালো থাকে ও কাপড় নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়”, বললেন শাহমিনা।

সাধারণত এই মৌসুমগুলোতে আমরা সুতি ধরনের কাপড় ব্যবহার করি। কিন্তু এবার যেহেতু তা ব্যবহার করা হয়নি এবং এই শীতেও ব্যবহার করা হবে না তাই তা ভালো মতো ধুয়ে মাড় ছাড়া শুকিয়ে শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।

মাড় দেওয়া অবস্থায় কাপড় রাখা হলে তাতে সহজের পোকার আক্রমণ ঘটে।

যেখানে কাপড় রাখা হয় সেখানে অবশ্যই ন্যাপথলিন দিতে হবে। আর হাতের কাছে ন্যাপথলিন পাওয়া না গেলে পাতলা কাপড়ে নিম পাতা বা কালোজিরা পেঁচিয়ে রেখার পরামর্শ দেন তিনি।

কাপড় সুন্দর ও সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলেও তা কয়েকদিন পর পর রোদের দেওয়া ভালো বলে মনে করেন এই অধ্যাপক।

আরও পড়ুন