একই জায়গায় বার বার ব্রণ হওয়ার কারণ

অনেকেরই মাসের পর মাস একই জায়গায় ব্রণ হয়। যা কেবল ব্যথা নয় বিরক্তিকরও।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2020, 08:23 AM
Updated : 30 Oct 2020, 08:23 AM

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওবেসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে একই স্থানে বার বার ব্রণ হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানানো হল।

হরমোন জনিত সিস্ট: ত্বকের নিচে সিস্টগুলো হচ্ছে বড় ধরনের ব্রণ। এগুলো ফুলে উঠে ও প্রদাহ সৃষ্টি করে। এই ব্রণগুলো সাধারণত মাথা বের করে না এবং দেখা দিলে তা দূর হতে অনেক বেশি সময় নেয় আর যদি যায়ও ত্বকে দাগ রয়ে যায়।

এটা মূলত হরমোনের কারণে হয়ে থাকে এবং এগুলো সাধারণ ব্রনের চেয়ে গভীরে হওয়ায় এর চিকিৎসা করা বেশ কঠিন।

এসকল ব্রণ ফাটানো বা খোঁচানো উচিত নয়। কারণ এটা ত্বকের ভেতরের দিকে থাকে বলে এর সঠিক অবস্থা বোঝা যায় না। এছাড়াও, এটা ত্বকের আশপাশের অঞ্চলকে সংক্রমিত করে। 

লোমকূপ বন্ধ থাকলে: মুখের বিভিন্ন অংশ বিশেষ করে টি-জোন অংশের সিবাম উৎপাদনের কারণে তৈলাক্ত হয়ে যায়। সিবাম মৃত কোষের ও ময়লার সঙ্গে মিশে লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। হোয়াইট হেডস ও ব্ল্যাক হেডস দেখা দেয়। ত্বককে ব্রেক আউট থেকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত এক্সফলিয়েট করা প্রয়োজন। এতে ত্বক ও লোমকূপ পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।

অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব কমাতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফেইসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।

পিরিয়ডের কারণে: পিরিয়ডের সময় যদি নিয়মিতই গালের দুই পাশে ব্রণ হয়ে থাকে এবং তা দীর্ঘদিন ধরেই হয় তাহলে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করার জন্য কোনো বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। বরফ ত্বকে ব্যবহার করার মাধ্যমে ত্বকের তেল নিঃসরণ কমানো যায়। নীল আলোর থেরাপিও জেদি ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে।

মুখে বার বার হাত দেওয়া: ঘাম মুছতে, অবসন্ন অবস্থায় বা অন্য যে কোনো কারণে বার বার মুখে হাত দিয়ে থাকি। মুখে বার বার হাত দেওয়া মানে হল ব্রণকে আমন্ত্রণ জানানো।

হাতে নানা রকমের ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া ত্বকের সংস্পর্শে এসে ব্রণ ও দানার সৃষ্টি করতে পারে। হাতের সংস্পর্শে মুখের ওই স্থানের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও এর ফলে ত্বকে সিবামের নিঃসরণ বেড়ে যায় ফলে লোমকূপ আবদ্ধ হয়ে ব্রেক আউট সৃষ্টি করতে পারে।

ছবির মডেল: আফসানা মিমি। মেইকআপ: মিমি। ছবি: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।

আরও পড়ুন