শুষ্ক ত্বকের প্রাকৃতিক সমাধান

প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করে শুষ্ক ত্বকের সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2020, 06:48 AM
Updated : 29 Oct 2020, 06:48 AM

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা সমাধানে প্রাকৃতিক উপকরণের ব্যবহার সম্পর্কে জানানো হল।

গোলাপ জল

গোলাপ জল ত্বকের পিএইচের মাত্রা স্বাভাবিক রেখে ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ রাখতে সহায়তা করে, যা শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে বা জ্বলুনি দেখা দিলে আক্রান্ত স্থানে সামান্য গোলাপ জল মেখে রাখুন, আরাম লাগবে।

পরামর্শ: একটা স্প্রেয়ের বোতলে সাধারণ গোলাপ জলে রেখে তা মুখের আক্রান্ত স্থানে স্প্রে করতে পারেন।

মধু

মধু প্রাকৃতিক আর্দ্রতা সমৃদ্ধ উপাদান। আর্দ্রতা রক্ষার পাশাপাশি এর প্রদাহ নাশক উপাদান ত্বকের জ্বলুনি, লালচেভাব কমাতে সহায়তা করে। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা ও তারুণ্য বাড়ায়।

পরামর্শ: আক্রান্ত স্থানে মধু ব্যবহার করে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।

পেঁপের টোনার

পেঁপে শুষ্ক ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতে ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। পেঁপে ত্বকে পুষ্টি যুগিয়ে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

পেঁপে ত্বকের রোদে পোড়াভাব ও জ্বলুনি কমায় এবং বলিরেখা দূর করে। বীজ থেকে পেঁপে আলাদা করে তাতে সামান্য পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন এবং তুলার বলের সাহায্যে তা ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

পরামর্শ: এই টোনার সাধারণত পাঁচ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। তাই পরিমিত তৈরি করুন।

ভাতের পানি

শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভাতের পানি প্রাকৃতিক সমাধান। এটা ত্বকের পিইচের মাত্রা ভারসাম্য বজায় রাখে ও আর্দ্রতা রক্ষা করে। এছাড়াও, উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, ত্বকের মলিনভাব দূর, আর্দ্রতা রক্ষা, বলিরেখা দূর ইত্যাদি কাজে ভাতের পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।

কেউ চাইলে ত্বকের টোনার হিসেবেও ভাতের পানি ব্যবহার করতে পারেন। এটা শুষ্ক ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষার পাশাপাশি জ্বলুনি কমাতে সহায়তা করে। সহজে ব্যবহার করতে চাইলে তুলার বল ব্যবহার করতে পারেন।

পরামর্শ: দুই ভাগ ভাতের পানির সঙ্গে এক ভাগ গোলাপ জল মিশিয়ে ফেইস মিস্ট তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালো ভেরা

অ্যালো ভেরা সব ধরনের ত্বকের সঙ্গেই মানানসই। এটা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং ‘ব্রেক আউট’ কমায়। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

অ্যালো ভেরার জেল আলাদা করে তা বায়ু শূন্য কাচের পাত্রে রেফ্রিজারেইটরে সংরক্ষণ করতে পারেন। আক্রান্ত স্থানে এই জেল মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পরামর্শ: পছন্দের ‘এসেনশিয়াল অয়েল’য়ে অ্যালো ভেরা মিশিয়ে তা দিয়ে সিরাম তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।

দুধ

দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকে উজ্জ্বল ও আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে। এটা রোদে পোড়াভাব ও ব্রণ কমায়। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা সমাধানে দুধ কার্যকর ভূমিকা রাখে। কেউ চাইলে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি দুধ তুলার বলের সাহায্যে ব্যবহার করতে পারেন।

পরামর্শ: ভালো ফলাফলের জন্য দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

আরও পড়ুন