পূজার সাজ

করোনাভাইরসের কারণে পূজায় হয়ত অনেকেই বাইরে যাবেন না বেড়াতে। তাই বলে তো আর থেমে থাকবে না সাজগোজ।

তৃপ্তি গমেজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2020, 07:12 PM
Updated : 24 Oct 2020, 07:12 PM

বাইরে যাওয়া হোক আর না হোক কম বেশি সবাই সাজগোজ করবেন পূজায়। আর এবার সাজের ধরনটা অন্যান্যবারের চেয়ে হবে খানিকটা ভিন্ন।

যেহেতু মাস্কের ব্যবহার আবশ্যিক। তাই হালকা বেইজ মেইকআপ ও আকর্ষণীয় চোখের সাজের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

নবমী ও দশমীর সাজ মানে জাঁকজমক। কিন্তু এবার হয়ত সামাজিক নিরাপত্তার কারণে অনেকেই মণ্ডপে যাবেন না। অনেকে আবার পার্লারেও যেতে খানিকটা ভয় পাচ্ছেন।

তাই ঘরেই কীভাবে সাজগোজ করা যায় সে সম্পর্কে পরামর্শ দেন ‘ফেয়ার লুক’ বিউটি পার্লারের কর্ণধার ও রূপসজ্জাকর রোকেয়া রহমান।

তিনি বলেন, “মেইকআপ করার আগে প্রথমেই মুখ ভালো মতো পরিষ্কার করে নিতে হবে। ত্বককে সুস্থ দেখাতে মুখ ধোয়ার পরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে নিতে হবে।”

যেহেতু বাইরে গেলে মাস্ক পরতেই হবে তাই মুখের বেইজমেইক আপ খুব বেশি ভারী না হওয়াই ভালো। তবে যারা বাসাতেই থাকবেন তারা চাইলে খানিকটা ভারী বেইজ তৈরি করে নিতে পারেন।

বেইজ তৈরি করতে প্রথমে মুখে ভালো মতো প্রাইমার ব্যবহার করে নিন। এরপর দাগছোপ, অসম রং ও ‘ডার্ক সার্কেল’ দূর করতে ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মিল রেখে কন্সিলার ব্যহার করুন।

এরপর খুব হালকা ভাবে ত্বকে ফাউন্ডেশন দিয়ে সেটিং পাউডার ব্যবহার করে তা সেট করে নিন। আর যারা ভারী লুক নিতে চান তারা ‘ফুল কাভারেজ ফাউন্ডেশন’ ও ‘পিগ্মেনটেড কম্প্যাক্ট পাউডার’ ব্যবহার করতে পারেন।

বেইজ তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে চেহারার কাঠামো সুন্দর দেখাতে কন্টুরিং করার পরামর্শ দেন, এই রূপসজ্জাকর। কন্টুর করার ক্ষেত্রে তা যেন দেখতে খুব বেশি কৃত্রিম মনে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখার কথা বলেন তিনি।

চেহারায় স্নিগ্ধভাব আনতে ব্লাশ ব্যবহার জরুরি। দিনের সাজ হলে খুবই হাল্কা রংয়ের ব্লাশ ব্যবহার করা উচিত এবং রাতের অনুষ্ঠানে খানিকটা গাঢ় রংয়ের ব্লাশ ব্যবহার করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দেন, রোকেয়া। 

চোখের সাজের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এবার যেহেতু মুখে মাস্ক থাকবে তাই চোখের সাজটা হওয়া উচিত আকর্ষণীয়।”

সাজগোজের মূল আকর্ষণ চোখে তৈরি করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আই মেইকআপ করার আগে চোখের প্রথমে ‘আই প্রাইমার’ ব্যবহার করে তারপর পছন্দের রংয়ের শ্যাডো ব্যবহার করতে হবে, এতে শ্যাডোর মূল রংটা পাওয়া যাবে এবং তা স্থায়ী হবে।

দিনে সাজার ক্ষেত্রে হালকা রং যেমন— পিচ, গোলাপি, বাদামি বা যে কোন রংয়ের হালকা শেইড ব্যবহার করতে পারেন। আর রাতের বেলায় স্মোকি আই বা পোশাকের সঙ্গে মানানসই গাঢ় রংয়ের শ্যাডো বেছে নিতে পারেন।

চোখের আকর্ষণ বাড়াতে ব্যবহার করুন ‘আই ল্যাশ’। তবে যারা কৃত্রিম আই ল্যাশ ব্যবহার করতে চান না তারা চোখের পাতায় দুতিন কোট মাস্কারা ব্যবহার করতে পারেন, দেখতে ভালো লাগবে বলে জানান, তিনি। এরপর পছন্দ মতো কাজল বা আইলাইনার দিয়ে চোখ এঁকে নিলেই সম্পন্ন চোখের সাজ।

সবশেষে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে হাইলাইটার। মুখের উঁচু স্থানগুলোতে হাইলাইটার ব্যবহার করতে হবে। এতে দেখতে উজ্জ্বল লাগে।

ঠোঁট রাঙাতে ব্যবহার করুন লিপস্টিক। দিনে হালকা রংয়ের বা ‘ন্যুড’ ধরনের লিপস্টিকের রং বেছে নিতে পারেন। আর রাতে চাইলে উজ্জ্বল ও পোশাকের রংয়ের সঙ্গে মানানসই গাঢ় শেইডের লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে, এমনটাই বলেন এই রূপসজ্জাকর।

সবশেষে, সতর্ক করে তিনি বলেন, “যেভাবেই সাজা হোক না কেন সাজে ব্যবহৃত প্রসাধনী ও সরঞ্জাম যেন পরিষ্কার থাকে এবং সাজ শুরু করার আগে হাতও যেন ঠিক মতো পরিষ্কার করা হয়।”

এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি নইলে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েই যাবে।