হৃদরোগের বড় কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

বাজে খাদ্যাভ্যাসের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2020, 06:55 AM
Updated : 20 Oct 2020, 06:55 AM

গবেষকরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগ হওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম।

বিশ্বব্যাপি হৃদরোগে মৃত্যুর দুই তৃতীয়াংশ কমানো সম্ভব শুধু স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে।

‘ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল’ শীর্ষক সাময়িকীতে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।

গবেষণার প্রধান, চিনের সেন্ট্রাল সাউথ ইউনিভার্সিটির গবেষক জিনইয়াও লিউ বলেন, “আমাদের পর্যালোচনা বলে, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ‘হাই সেরাম কোলেস্টেরল’ এই তিনটি বিষয় হল ‘হার্ট অ্যাটাক’ ও ‘অ্যানজাইনা’তে মৃত্যুর সবচাইতে বড় কারণ। এই দুটি শারীরিক সমস্যাকে একত্রে বলা হয় ‘ইশচেমিক হার্ট ডিজিস’।”

১৯৯০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে মোট ১৯৫টি দেশে হওয়া ‘গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডি’ থেকে তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। 

২০১৭ সালে ‘ইশচেমিক হার্ট ডিজিজ’ নিয়ে বেঁচে থাকা মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১২ কোটি ৬৫ লাখ। আর নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক কোটি ছয় লাখ।

‘ইশচেমিক হার্ট ডিজিজ’য়ে ২০১৭ সালে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় ৮৯ লাখ, যা ওই বছরের মোট মৃতের সংখ্যার ১৬ শতাংশ।

১৯৯০ সালে মোট মৃতের সংখ্যার মধ্যে ‘ইশচেমিক হার্চ ডিজিজ’য়ে মৃত্যু ছিল ১২.৬ শতাংশ।

গবেষণার অনুসন্ধানে ১১টি ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’য়ের প্রভাব হিসেব করেন গবেষকরা। এই ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’গুলো ছিল খাদ্যাভ্যাস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল, অতিমাত্রায় ‘প্লাজমা গ্লুকোজ’, তামাক সেবন, উচ্চমাত্রার ‘বডি ম্যাস ইনডেক্স’, বায়ুদূষণ, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, বৃক্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, ‘লেড এক্সপোজার’ এবং মদ্যপান।

একটি ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ যদি পুরোপুরি নির্মূল করা যায়, তবে সম্ভাব্য মৃত্যুহারে কি প্রভাব পড়বে সেটাই মূলত দেখতে চেয়েছিলেন গবেষকরা।

দেখা যায়, অন্যান্য সকল ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’য়ে যদি কোনো পরিবর্তন না আসে, তবে শুধু স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে পারলেই ‘ইশচেমিক হার্ট ডিজিস’য়ে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব ৬৯.২ শতাংশ।

অপরদিকে ‘সিস্টোলিক ব্লাড প্রেশার’ যদি ১১০-১১৫ এমএমএইচজি এর মধ্যে রাখা যায় তবে ‘ইশচেমিক হার্ট ডিজিস’য়ের মৃত্যুর হার কমে আসবে ৫৪.৪ শতাংশ।

‘ইশচেমিক হার্ট ডিজিস’য়ের ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’য়ের তালিকায় তামাক সেবনের অবস্থান শীর্ষ চতুর্থ স্থানে। তবে তা শুধু পুরুষের জন্য। নারীদের ক্ষেত্রে তা সপ্তম।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন