অতিরিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী সহকর্মীকে সামলাতে

কর্মক্ষেত্রে সুস্থ প্রতিযোগিতা ভালো। তবে অতিরিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী সহকর্মী হতে পারে ক্ষতিকর।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2020, 08:03 AM
Updated : 7 Oct 2020, 08:03 AM

প্রতিটি মানুষের জীবনেই প্রতিমুহূর্তে চলছে কোনো না কোনো প্রতিযোগিতা।

শিক্ষাজীবনে ভালো নম্বর পাওয়ার প্রতিযোগিতা, কর্মজীবনে এসে বড় চাকরির জন্য প্রতিযোগিতা, বেতন বাড়ানো প্রতিযোগিতা, ব্যক্তিগত জীবনে সফল হওয়া প্রতিযোগিতা।

বুদ্ধিমানরা প্রতিযোগিতাকে ভালো চোখেই দেখেন। কারণ এই মনোভাব আপনাকে জীবনযুদ্ধে প্রতিদিন আরও উন্নতি করার তাড়না যোগায়। তবে প্রতিযোগিতা যখন বাড়াবাড়ি মাত্রায় পৌঁছায়, যখন নিজে উন্নতি করার জন্য অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়, অন্যের সফলতা নিজের নামে চালানোর অপচেষ্টা শুরু হয়, তখনই তা রূপ নেয় খারাপের দিকে। ইতিবাচক প্রতিযোগিতা পরিণত হয় বিবাদে।

কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাটা বরাবরই বেশি। কারণ সেখানে সাফল্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অর্থ। যার চাহিদা কখনই মেটানো সম্ভব হয় না। যত হাতে আসে, ততই চাহিদা বাড়তে থাকে। তাই এখানে প্রতিযোগিতার নোংরা দিকটা ফুটে ওঠার ঘটনা তুলনামূলক বেশিই চোখে পড়ে।

সেসব নোংরা পরিস্থিতি সামলাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তার একটা ধারণা তুলে ধরা হল জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে। 

মুখোমুখি বোঝাপড়া: কর্মক্ষেত্রে অনৈতিকতার শিকার হয়ে হতাশ হয়ে চুপ করে সহ্য করা কোনো সুফল বয়ে আনবে। যে কোনো সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সরাসরি আলোচনা সবসময়ই সবচাইতে কার্যকর উপায়। এক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

তাই যার মাধ্যমে অনৈতিকতার শিকার হচ্ছেন বা হয়েছেন তার সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করতে হবে। শক্ত হাতে নিজের অবস্থান বুঝিয়ে দেওয়া সময় এটাও খেয়াল রাখতে হবে, আপনার ভাষা যেন পেশাজীবীসুলভ হয়। আর অপর পক্ষকে এটা বুঝিয়ে দিতে হবে কেনো আপনি মুখোমুখি মোকাবিলার পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

স্বার্থপরতা: স্বার্থপর শব্দটা নেতিবাচক শোনালেও নিজের ভালোটা চিন্তা করা সবসময় খারাপ নয়। কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগী মনোভাব যদি ভদ্রতা হারায় তবে নিজেকেই নিজের প্রতিযোগী হিসেবে গন্য করতে হবে।

কর্মক্ষেত্রে নিজের জন্য লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করুন এবং তা অর্জন করতে সর্বাত্মক পরিশ্রম করুন। এতে নিজের তাগিদেই আপনার দক্ষতা বাড়বে। অন্যের প্রতিযোগী মনোভাব থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়ার প্রয়োজন হবে না।

অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়া: কর্মক্ষেত্রে যোগদানের শুরু থেকেই সহকর্মীদের সঙ্গে পেশাগত বন্ধুত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করা উচিত। এতে আপনি কোনো অনৈতিকতার শিকার হলে আপনার কথা বলার মানুষ তৈরি হবে। সমস্যা মোকাবিলার পরামর্শ পাবেন সহকর্মীদের কাছ থেকেই। পাশাপাশি নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার মাধ্যমে আপনারা সকলেই শক্তিশালী পেশাজীবী হিসেবে গড়ে উঠবেন, অর্জন করতে পারবেন সম্মান। অন্যের কাজে উৎসাহ দিতে হবে, সাহায্য করতে হবে, তাদের সাফল্যে প্রসংশা করতে হবে। একসময় শুধু আপনার উপস্থিতিতেই একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করবে। 

কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা: কোনো কিছুতেই কাজ না হলে সর্বশেষ পদক্ষেপ হবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করা। নিজের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে হবে, অন্যের অনৈতিক কাজের জন্য আপনার কী ক্ষতি হচ্ছে সেটা খুলে বলতে হবে। আর এজন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটা সহজাত সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা থাকতে হবে প্রথম দিন থেকেই।

আরও পড়ুন