অতিরিক্ত শারীরিক ওজন বয়ে আনে নানান স্বাস্থ্যগত জটিলতা।
‘ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ ওবেসিটি (ইএওএস)’র তথ্য মতে, স্থূলতা বা ‘ওবেসিটি’ বিশ্বব্যাপি মৃত্যুর পঞ্চম প্রধান কারণ।
তবে শরীরের কিছু অংশে সামান্য বাড়তি চর্বি থাকা সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারীও বটে।
উরু তেমনি একটি স্থান, আর তার উপকারী দিকগুলো সম্পর্কে জানানো হল স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘রাটগারস নর্থ আমেরিকান ডিজিজ ইন্টারভেনশন’য়ের সাম্প্রতিক গবেষণা বলে, “যাদের পায়ে চর্বির মাত্রা সামান্য বেশি তাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম।”
‘আমোরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’য়ের ‘হাইপারটেনশন ২০২০ সাইন্টিফিক সেশন’ শীর্ষক সম্মেলনে এই গবেষণা উপস্থাপন করা হয়।
গবেষণা
অংশ নেয় মোট ছয় হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ, যাদের প্রত্যেকেই বিভিন্ন তীব্রতার উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত।
কারও আছে ‘সিস্টোলিক হাই ব্লাড প্রেশার’ অর্থাৎ রক্তচাপের মানের ওপরের সংখ্যাটি বেশি, ‘ডায়াস্টোলিক হাই ব্লাড প্রেশার’ বা মানের নিচের সংখ্যাটি বেশি এবং ‘কমবাইনড হাই ব্লাড প্রেশার’ যেখানে দুটোই বেশি।
ফলাফল
অংশগ্রহণকারীদের শরীরের চর্বি টিস্যুর মাত্রা জানতে করা হয় এক্স-রে।
তুলনামূলক পর্যালোচনায় দেখা যায়, যাদের পায়ে চর্বি বেশি তাদের ‘কমবাইনড হাই ব্লাড প্রেশার’ হওয়ার আশঙ্কা ৬১ শতাংশ কম।
অপরদিকে তাদের ‘ডায়াস্টোলিক হাই ব্লাড প্রেশার’য়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কম।
যদিও কোমরের অংশে চর্বি বেশি হওয়া ক্ষতিকর। তবে পায়ের চর্বি বেশি হওয়া ক্ষতির কারণ হয় না।
স্বাভাবিক রক্তচাপ হল ১২০ ‘সিস্টোলিক’ আর ৮০ ‘ডায়াস্টোলিক’। কারও রক্তচাপ ১৩০ ‘সিস্টোলিক’ আর ৮১ ‘ডায়াস্টোলিক’ হয়ে গেলেই আপনার রক্তচাপ বেশি।
আর রক্তচাপ ১৮০/১২০ পৌঁছালে তাকে বলা হয় ‘হাইপারটেনসিভ ক্রাইসিস’।
আমেরিকাল হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’য়ের মতে, উচ্চ রক্তচাপ থেকেই তৈরি হয় হার্ট অ্যাটাক, বৃক্ক অকেজো হওয়া, স্ট্রোক, হৃদযন্ত্র তার ক্ষমতা হারানো, দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়া, যৌন অক্ষমতা ইত্যাদি সমস্যার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন