মহামারীর সময়ে বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাতে সতর্কতা

এখনও সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ হবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনলাইনে আড্ডা জমানো।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2020, 07:41 AM
Updated : 2 Sept 2020, 07:41 AM

আর মুখোমুখি আড্ডায় বসতে হলে যে বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো জানানো হলো স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।

আড্ডায় যাওয়া কি খুবই জরুরি?

সেই মার্চ মাস থেকে মানুষ গৃহবন্দি। বন্ধু, সহকর্মী, পরিবারের অনেক সদস্য থেকেই মানুষ বিচ্ছিন লম্বা একটা সময়। তাই দেখা করার সুযোগ আসলে তা এড়িয়ে যেতে কষ্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক। হয়ত মনে হয়, হলে হোক করোনা, আর এই নিঃসঙ্গতা সহ্য হচ্ছে না। তারপরও মনকে সামলানোর চেষ্টা করতে হবে। আড্ডাটা ভিডিও কলেও জমতে পারে। কারণ একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে নিশ্চিত চিকিৎসা কিন্তু এখনও নেই। আর শুধু নিজেই যে আক্রান্ত হবেন তাও নয়, পরিবার কিংবা একসঙ্গে বাস করা মানুষগুলোও ঝুঁকিতে পড়বে।

মাস্ক খোলা যাবে না

যদি বাইরে বের হয়েই যান, তবে মাস্ক তো অবশ্যই পরতে হবে। আবার আড্ডা গিয়ে যদি মনে করেন আপনার বন্ধুদের মধ্যে সবাই ঘরে থেকেছে, কেউ আক্রান্ত হয়নি, তাই এখন মাস্ক খুলে রাখলেও হবে, তাহলে মস্ত বড় ভুল হবে। আর আড্ডা সদস্যরা নিয়মিত বাইরে যাওয়া মানুষ হলে তো কথাই নেই। কার কাছ থেকে কীভাবে আক্রান্ত হয়ে যাবেন তা জানায় উপায় নেই। তাই সবার থেকে নুন্যতম ছয় ফিট দূরত্ব তো থাকবেই, সঙ্গে পুরো সময়টা মাস্ক পরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। আড্ডার সময় রাস্তার পাশে কোনো কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আড্ডা খোলামেলা স্থানে

আড্ডা দিতে বন্ধুর বাসায় চলে গেলেন। ভাবলেন এখানেও তো ঘরেই আছি, তাই আর ঝুঁকি নেই। কিংবা কোনো রেস্তোরাঁয় বসে পড়লেন। আসলে উল্টোটা হলো। বদ্ধ স্থানে ভাইরাসের ‍ঝুঁকিটা সবসময়েই বেশি। আপনি যতটা সতর্ক, যার বাড়ি গেলেন সে ততটা সতর্ক তো নাও হতে পারে। আবার আপনার কাছ থেকেও ওই নতুন বাড়িতে ভাইরাস পৌঁছে যেতেই পারে। আর রেস্তোরাঁ বা চায়ের দোকানে বসলে তো কথাই নেই। তাই চেষ্টা করতে হবে খোলামেলা আবহাওয়া এবং মানুষ চলাচল কম এমন স্থানে আড্ডায় বসা।

খাবার কিংবা পানীয় ভাগাভাগি না করা

এক প্যাকেট চিপস কিনে দুই বন্ধু ভাগাভাগি করে খাওয়া যাবে না, পানীয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এখানে সমস্যা খাবারে নয়, বরং দুজন মানুষের হাত একই খাবার স্পর্শ করায়।

আলিঙ্গন, করমর্দন নিষিদ্ধ

এ ব্যাপারে নতুন করে সতর্ক করার কিছু নেই। হাত মেলানো, আলিঙ্গন সবকিছুই নিষিদ্ধ। অপরজন হাত বাড়িয়ে দিলে, কষ্ট হলেও ফিরিয়ে দিতে হবে। তাকে মনে করিয়ে দিতে হবে করোনাভাইরাসের ঝুঁকির কথা।