হাঁটু, কনুই ও বাহুমূলের কালচে দাগ দূর করার প্রাকৃতিক উপায়

মুখ বা শরীরের অন্যান্য অংশের প্রতি যত্নশীল হলেও হাঁটু, কনুই ও বাহুমূল বরাবরই বাদ পড়ে যায়। ফলে দেখা দেয় কালচেভাব।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2020, 05:43 AM
Updated : 17 August 2020, 05:43 AM

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে হাঁটু, কনুই ও বগলের প্রাকৃতিক যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানান হল।

বেইকিং সোডা ও দই

বেইকিং সোডা মৃত কোষ দূর করে এবং দই ত্বক মসৃণ ও আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে। এটা রোদে পোড়াভাব কমায়। টক দই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুব ভালো কাজ করে।   

উপকরণ: বেইকিং সোডা- ১ টেবিল-চামচ। দই- ১ টেবিল-চামচ।

পদ্ধতি: উপকরণ দুটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। হাঁটু ও কনুইয়ে মিশ্রণটি মিশিয়ে আলতোভাবে দুতিন মিনিট মালিশ করুন। এরপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কারে করে ফেলুন।    

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার

এটা প্রাকৃতিক উপাদান থেকে সংগ্রহীত। অ্যাসিটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় এটা প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। তৈলাক্ত ত্বকে এটা খুব ভালো কাজ করে।

উপকরণ: অ্যাপল সাইডার ভিনিগার- ১ টেবিল-চামচ। পানি- ১ টেবিল-চামচ।

পদ্ধতি: একটা বাটিতে উপাদানগুলো মিশিয়ে নিন। এরপর কনুই ও হাঁটুতে তুলার বলের সাহায্যে মিশ্রণটি মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এক দিন পর পর ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

হলুস, বেসন ও মধুর মাস্ক

হলুদ ত্বক উজ্জ্বল করারা জন্য প্রাচীনকাল থেকে সুপরিচিত। 

উপকরণ: হলুদ আধা চা-চামচ। মধু ১/৪ চা-চামচ। বেসন- ১ টেবিল-চামচ।

পদ্ধতি: সব উপকরণ মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করে নিন। পেস্টটি হাঁটু ও কনুইয়ে মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

শসা ও অ্যালো ভেরার মাস্ক

শসা ও অ্যালো ভেরা মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। এই দুই উপাদানই তরল প্রকৃতির। তাই আর্দ্রতা রক্ষাকারী মাস্ক হিসেবে কার্যকর।

অ্যালোভেরা ত্বক আর্দ্র রাখে ও প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। এটা পিগমেন্টেইশন কমায়। শসা লোমকূপ সঙ্কুচিত করে ও ত্বক সতেজ রাখে।

এই মাস্ক সব ধরণের ত্বকের সঙ্গেই মানিয়ে যায়। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে চাইল লেবুর রস যোগ করতে পারেন। তুলার বলের সাহায্যে হাঁটু, কনুই ও বগলে এই মাস্ক নিয়মিত ব্যবহার করলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন