পাদুকা জীবাণুমুক্ত রাখতে

করোনাভাইরাসের এই সময়ে হাত ধোয়া ছাড়াও পরনের কাপড়-জুতার কথা ভুলে গেলে চলবে না।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2020, 03:03 PM
Updated : 24 June 2020, 03:03 PM

অনেকেই ঘরে প্রবেশ করা সঙ্গে সঙ্গেই গায়ের পোশাক সাবান পানিতে ডুবিয়ে রাখছেন, তৎক্ষণাত পরিষ্কার করে নিচ্ছেন। তবে জুতা থেকে যাচ্ছে অবহেলায়।

ঘর থেকে বেরিয়ে যতটুকু দূরত্বেই যান না কেনো, যে রাস্তায় হাঁটছেন সেখানে যে করোনাভাইরাস পড়ে আছে তা প্রায় অনেকটাই নিশ্চিত এবং তা আপনার জুতাতে লেগে যাচ্ছে।

জুতা থেকে ওই ভাইরাস তখনই আপনাকে আক্রান্ত করতে না পারলেও তা আপনার ঘরে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। যেখানে আপনি নিজেকে সবচাইতে নিরাপদ মনে করেন।

তাই জুতা, স্যান্ডেল, পাদুকা যাই বলুন না কেনো তা জীবাণুমুক্ত করার প্রতি আরও মনোযোগ প্রয়োজন সবার।

আর তা কীভাবে করতে হবে সেই বিষয়ে জানানো হল স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।  

করণীয়

* জুতার মাধ্যমে ঘরের ভেতরে করোনাভাইরাস প্র্রবেশ রোধ করার সবচাইতে সহজ উপায় হল বাইরের জুতা কোনো অবস্থাতেই ঘরের ভেতরে না আনা। আবার মনের ভুলে ঘরে পরার স্যান্ডেলটা পরে বাইরে চলে যাওয়াও চলবে না। বিশেষ করে যারা করোনাভাইরাস রোগীদের সেবায় নিযুক্ত, তাদের এই নিয়ম মানতে হবে কঠোরভাবে।

* জুতা খোলার সময় তা হাত দিয়ে স্পর্শ করা থেকে যথাসাধ্য বিরত থাকতে হবে। এসময় ফিতাওয়ালা জুতা না পরাই ভালো। সহজেই পা গলিয়ে পরে ফেলা যায় এমন জুতা ব্যবহার করতে হবে। 

* জুতার তলা যে সবচাইতে নোংরা অংশ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই ঘরে ফিরে জুতা বাইরে রাখলেও, আগে পাপোষে ঘষে জুতার তলা পরিষ্কার করে নিতে হবে, যাতে সেখানে কাদা কিংবা ধুলা জমে থাকার সুযোগ না পায়। আবার বাইরে ফেলে রাখলেও পুরো জুতাটা নিয়মিত পরিষ্কারও করতে হবে। 

* জুতা পরিষ্কার করতে সাধারণত আমরা পুরানো কাপড়, ব্রাশ ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। শুকনা ও ভেজা দুই অবস্থাতেই কাপড় দিয়ে জুতা মোছা হয়। চাইলে কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়েও মুছতে পারেন। তবে তাতে জীবাণুমুক্ত হবে না।

জীবাণুমুক্ত করতে হলে সাবান কিংবা ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানিতে ভেজানো কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি ব্যবহার করলে চামড়ার জুতা রং নষ্ট হতে পারে। জুতার ভেতরের অংশ জীবাণুমুক্ত করতে হলে পানি ও ‘রাবিং অ্যালকোহল’য়ের মিশ্রণ তৈরি করে তা জুতার ভেতরে স্প্রে করতে হবে। 

* জীবাণুনাশক ছিটানোর সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু জুতা জীবাণুমুক্ত হবে না, সময় দিতে হবে কয়েক মিনিট। এসময় জুতা আলো-বাতাস চলাচল করে কিংবা রোদ পড়ে এমন স্থানে রাখতে হবে। শুকিয়ে গেলে কাপড় দিয়ে আরেকবার মুছে নিতে হবে।

জুতার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনাকে অবহেলা করা উচিত হবে না। তাই জুতা ও পা দুটোই পরিষ্কারের দিকে নজর দিন।

আরও পড়ুন