এখনও নতুন করোনাভাইরাস মহামারী শেষ হয়নি। আর এর থেকে এখন পর্যন্ত বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অটুট রাখা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে যখন ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে তখন ঘরে থেকে একঘেয়ে ভাব দূর করতে অনেকেই মুখরোচক খাবার নিয়ে বসছেন টিভি বা কম্পিউটারের সামনে।
এরমধ্যে ভাজা খাবার নিশ্চই আছে। তবে প্রায়ই ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়া কারণে শরীরে বাঁধতে পারে নানান রোগ। কমে যেতে পারে রোগ দমন করার ক্ষমতা।
এই বিষয়ে স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ অ্যাশলে কিচেঞ্জ বলেন, “খাবার ভাজা হলে সেটার ‘ক্যালরি’র মাত্রা বেড়ে যায়। ভাজার পর খাবারের বাইরের দিকের অংশ আর্দ্রতা হারায় আর ভেতরে শুষে নেয় তেল।”
“ভাজা খাবারের তেলে থাকে ‘ট্রান্স ফ্যাট’ যা দেহে এলডিএল’য়ের মাত্রা বাড়ায়।”
এলডিএল বা ‘লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন’ যা খারাপ কোলেস্টেরল হিসেবে চিহ্নিত। যে কারণে ধমনিতে বাধা তৈরি করে হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ায়।
এছাড়া চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটাও প্রমাণিত যে, বেশি পরিমাণে ভাজা খাবার খাওয়া হলে রক্ত চাপও বৃদ্ধি পায়। যা হৃদরোগ হওয়ার আরেক কারণ।
তাছাড়া ভাজা খাবার ওজন বাড়ায়, এই তথ্য এখন প্রায় সবাই জানেন। তাই ভাজা-পোড়া খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই মঙ্গল।
ভাজা খাবার খাওয়া কমাতে
ভাজা খাবার কমাতে চাচ্ছেন অথচ ছাড়তে পারছেন না। এক্ষেত্রে কিচেঞ্জের পরামর্শ হল ‘এয়ার ফ্রাইয়ার’ ব্যবহার করা।
তিনি বলেন, “এয়ার ফ্রাইয়ার’য়ে রান্না করা খাবার তেলে ভাজার মতোই মচমচে হয় তবে ব্যবহার করা হয় না তেল। তাই এটা হতে পারে তেলে ভাজা খাদ্যাভ্যাস বদলনোর ভালো উপায়।”
আরও পড়ুন