ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য প্যাক

বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি প্যাক ব্রণ নিরাময় করতে সাহায্য করে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2020, 12:50 PM
Updated : 12 June 2020, 12:50 PM

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ব্রণ প্রবণ ত্বকের উপযোগী কয়েকটি মাস্ক সম্পর্কে জানানো হল।

হলুদ ও মধুর প্যাক

হলুদে থাকা প্রদাহনাশক উপাদান কেবল ত্বকের ব্রণই দূর করেনা পাশাপাশি উজ্জ্বলতা

ব্যবহার পদ্ধতি: হলুদ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। প্যাকটি ত্বক মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে ফেলুন।

পরামর্শ: এক চামচ দই এই প্যাকে যোগ করতে পারেন। এতে ত্বকের ব্রণ সৃষ্টিকারী মৃত কোষ দূর হবে।

অ্যালো ভেরার ফেইস প্যাক

ব্রণের কারণে ত্বকে জ্বলুনি ও প্রদাহ দেখা দেয়। অ্যালো ভেরা ত্বক ঠাণ্ডা রাখে এবং তাৎক্ষনিকভাবে ত্বকে আরাম অনুভূত হয়। এছাড়াও অ্যালো ভেরা স্বাস্থ্যসম্মত যা নিয়মিত খাওয়া হলে ব্রণ ও ব্রেক আউট নিয়ন্ত্রণ করে।

ব্যবহার পদ্ধতি: তাজা অ্যালোভেরা কেটে আক্রান্ত স্থানে লাগান। ১০ মিনিট পরে তা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পরামর্শ: রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণের ওপর অ্যালো ভেরা মেখে ঘুমান। সকালে উঠে ভালো ফলাফল পাবেন।

হলুদ ও নিমের প্যাক

প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের সমস্যায় নিম ও হলুদ ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফাঙ্গাল ও ব্যাক্টেরিয়া বিরোধী গুণাগুণ ত্বকের ব্রণ ও দাগ কমাতে সহায়তা করে।

ব্যবহার পদ্ধতি: এক টেবিল চামচ নিম পাতা বেটে নিন। এতে আধা চা-চামচ হলুদের গুঁড়া যোগ করুন। মসৃণ পেস্ট তৈরি করে তা মুখে মেখে ১০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পরামর্শ: হলুদ খুব বেশি সময় ত্বকে রাখলে ত্বকে হলুদের দাগ বসে যায় তাই কম সময় ত্বকে ব্যবহার করতে হবে।

টি ট্রি তেল ও ডিমের সাদা অংশের প্যাক

টি ট্রি তেল ব্যাক্টেরিয়ারোধী উপাদান সমৃদ্ধ এবং ব্রন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ডিমের সাদা অংশ প্রাকৃতিক কন্ডিশনার সমৃদ্ধ, ডিমের সাদা অংশ ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ব্যবহার পদ্ধতি: একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক ফোঁটা টি ট্রি তেল মেশান। ভালো মতো ব্লেন্ড করে বা ফেটে নিয়ে তা মুখে মাখুন। শুকিয়ে আসলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

পরামর্শ: ব্যবহৃত ডিমের হলুদ অংশ ফেলে না দিয়ে তার সঙ্গে এক চামচ মেয়োনেইজ মিশিয়ে কন্ডিশনার তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

বেসন, মধু ও দই

বেসন ত্বক উজ্জ্বল করতে ও ত্বক টানটান করতে সয়াহায়তা করে। এছাড়াও এটা ব্রণ ও ব্রণের দাগ কমাতে এবং তৈলাক্তভাব কমাতে সহায়তা করে। মধু ও দইয়ের সঙ্গে বেসন মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

ব্যবহার পদ্ধতি: এক টেবিল-চামচ বেসনের সঙ্গে মধু ও টক দই মেশান। প্যাকটি ত্বকে মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

পরামর্শ: সপ্তাহে দুবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাবেন।

রসুন ও মধুর প্যাক

রসুনে রয়েছে জীবাণু ধবংসের ক্ষমতা যা ব্রণের আকার ছোট করতে সহায়ক। এতে সামান্য মধু যোগ করলে তা ত্বক পরিষ্কার রাখে এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।

ব্যবহার পদ্ধতি: এক চা-চামচ রসুনের পেস্ট ও এক চা-চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পরামর্শ: ব্রণে ব্যথা থাকলে তার ওপরে রসুন কুচি করে দিয়ে সারা রাত রেখে দিন।

অ্যাক্টিভেইটেড চারকোল ফেইস মাস্ক

বিগত কয়েক বছর ধরে চারকোলের মাস্ক বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটা ত্বক থেকে বিষাক্ত উপাদান ও বাড়তি তেল দূর করে লোমকূপ পরিষ্কার করে ব্রণ দূর করে।  বাজারে নানা রকমের চারকোল মাস্ক পাওয়া যায়। চারকোল পিল-অফ মাস্কের বদলে চারকোলের গুঁড়ার তৈরি প্যাক ব্যবহার করুন। কারণ পিল অফ মাস্ক ত্বকের জন্য খানিকটা ক্ষতিকারক।  

ব্যবহার পদ্ধতি: ব্যবহার বিধি অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।

পরামর্শ: ফেইস প্যাকে এক ফোঁটা মধু যোগ করুন এতে ত্বক আর্দ্র থাকবে ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

ছবি কৃতজ্ঞতায়: আকাঙ্ক্ষা’স গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড।