জীবন বাঁচাতে বন্ধুতা

স্কুল কলেজের প্রাক্তন বন্ধুদের সংগঠনগুলো হয়ত পুনর্মিলনী আর বছর শেষে বনভোজনের আয়োজন নিয়েই সীমাবদ্ধ থাকতো যদি না এই মহামারীর সময় আসতো।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2020, 07:14 AM
Updated : 24 May 2020, 07:14 AM

প্রয়োজন পরিবর্তন করে দেয় মানুষের চাহিদা উদ্দেশ্য। যেমন ঘটছে এইসব বন্ধুদের সংগঠনগুলোর মধ্যে।

নিজেদের মাঝে যোগাযোগ রাখার জন্য গড়ে নেওয়া সংগঠনগুলো এখন দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। পাশাপাশি যখন উপলব্ধি করছেন পরিচিত বন্ধুদের মধ্যেও রয়েছে অভাব তখন কোনো নাম প্রকাশ ছাড়াই যথাসাধ্য পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।

এরকমই একটি বন্ধুদের সংগঠন ‘মতিঝিল মডেল এক্স স্টুডেন্ট’ বা মেক্সজা’র উপদেষ্টা মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার বলেন, “লকডাউন শুরু হওয়ার পর, আমাদের সংগঠনের ছোট ভাই-বোনরা মাঠে নেমে পড়েন মানুষকে সাহায্য করতে। বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে গিয়ে বুঝলাম আমাদের বন্ধুদের মধ্যেই অনেকে রয়েছেন যাদের সাহায্য দরকার। তাই নিজেরাই একটা ডেটা ব্যাংক তৈরি করে আমাদের এসব বন্ধুদের নিত্য প্রয়োজনী খাবার ও বিভিন্ন পণ্যের সমন্বয়ে উপহার সামগ্রী পাঠাতে শুরু করলাম।”

এসএসসি ৯৮-এইচএসসি ২০০০ ফ্রেন্ডস গ্রুপে অ্যাডমিন মো. মুশফিকুল ইসলামও বললেন একই কথা। “দুস্থদের সাহায্য করতে গিয়ে খেয়াল করলাম গ্রুপের অনেক সদস্যদের সাহায্য দরকার। তখন আমাদের যে ফান্ড ছিল সেটা দিয়েই তাদের উপহার সামগ্রী পাঠাতে শুরু করলাম।”

এআইইউবি অ্যালুমনাই অ্যাসোসিয়েশন এর অ্যাডমিন আকরামুল হক শুভ বলেন, “আমাদের ফেইসবুক ভিত্তিক এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষাজীবন শেষে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখা আর কর্মজীবনে একেকজনের পাশে দাঁড়ানো। এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আমাদের কার্যক্রমে এসেছে ভিন্নতা। দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি এই সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য পাঠাচ্ছি উপহার সামগ্রী। মহামারীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাব।”

আর এভাবেই বন্ধুদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংগঠনগুলো অন্য মানুষদের পাশাপাশি বন্ধুদের জন্যও হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন করোনাকালীন দুর্যোগে। গল্পের বন্ধুর মতো ভাল্লুক দেখে বন্ধুকে ফেলে গাছে না উঠে, বন্ধুর পাশে দাঁড়াচ্ছেন বন্ধুরা।