মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব

ব্যক্তি জীবনের পাশাপাশি মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।

লাইফস্টাইলডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2020, 08:02 AM
Updated : 5 May 2020, 08:02 AM

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অতিরিক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে তা আসক্তিতে পরিণত হয়। যা মানসিক ভাবে একজনকে বিপর্যস্ত করতে পারে।

মানসিকস্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আসক্ত হওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানান হল।  

তিরষ্কার: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেহেতু কেউ কারও সামনাসামনি থাকেনা তাই খুব সহজেই একে অপরকে খারাপ বা কঠিন মন্তব্য করে ফেলেন। এই ধরনের মন্তব্য ব্যক্তির মানসিক অবস্থার ওপরে প্রভাব ফেলে ও মানসিক শান্তি নষ্ট হয় এবং আত্মবিশাস দুর্বল হয়ে যায়। তাছাড়া বর্তমানে সাইবার অপরাধকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এর ফলে কারাদণ্ডের মতো শাস্তিও হতে পারে।

তুলনা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছে ও বিগত ‘সার্চ হিস্ট্রি’র ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এতে করে প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের বিজ্ঞাপন সামনে আসে ফলে ভালো মন্দ যাচাই করাটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। সৌন্দর্য, স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার অবাস্তব মান ব্যক্তির সার্বিক জীবনযাপনের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে খুব বেশি আকৃষ্ট হয়ে গেলে তা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।

যোগাযোগ কমা: সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমগুলোতে আসক্তি বেড়ে যাওয়ায় একে অপরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে হতাশা ও একাকিত্ব বৃদ্ধি পায়।

২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ২৩ জন কিশোরের ওপর টেক্সাস স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞান বিভাগের করা এক গবেষণা থেকে জানা যায় তাদের হতাশা সম্পর্কে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে কিশোর কিশোরীদের মধ্যে নেতিবাচক আচরণ যেমন- অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করা, ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ, ক্ষতিকারক পোস্ট শেয়ার করা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার ইত্যাদি দেখা যায়।

এই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তি থেকে নিজেকে দূরে রেখে বরং নিজেকে বোঝার চেষ্টা করা ও সুস্থ এবং স্বাভাবিকভাবে নিজেকে সারা জগতের সঙ্গে জড়িত রাখার চেষ্টা করা উচিত।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন