তবে খুব কম মানুষই সেদিকে নজর দেন। প্রতিবার দাঁত ব্রাশ করার সময় ব্রাশের উল্টো দিক কিংবা ‘টাং স্ক্র্যাপার’ দিয়ে জ্বিহ্বা পরিষ্কার করা উচিত।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হলো জিহ্বা পরিষ্কার করার উপকারী দিকগুলো সম্পর্কে।
দাঁতে ক্ষয় থেকে বাঁচতে: মুখগহ্বরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে পর্যাপ্ত সতর্কতা নেই অনেকের। আর তাদের মধ্যে জিহ্বাই সম্ভবত সবচাইতে অবহেলিত। দাঁত ব্রাশ করার সময় তার ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্যকণা পরিষ্কার হয় অনেকটাই। কিন্তু জিহ্বাতেও থাকে খাদ্যকণা ও বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া, যা পরে দাঁতে লেগে যায় এবং দাঁতের ক্ষতি করে। তাই জিহ্বা পরিষ্কার না করলে মুখগহ্বরের পরিচ্ছন্নতা অসম্পূর্ণই থেকে যাবে।
জিহ্বার বাহ্যিক অবস্থা: নোংরা জিহ্বায় সাধারণত এক ধরনের আস্তর তৈরি হয়। যে কারণে তা দেখতে সাদা কিংবা ধূসর বর্ণের মনে হয়। ব্যাক্টেরিয়া আর খাদ্যকণা মিলেই এই আস্তর তৈরি হয়, সঙ্গে জিহ্বার মৃতকোষও থাকতে পারে। ভালোভাবে পরিষ্কার করলে এই আস্তর উঠে যায়। তবে মনে রাখতে জিহ্বা খুব জোর দিয়ে ঘষা যাবেনা, এতে মারাত্বক আঘাত লাগার আশঙ্কা প্রবল। আলতোভাবে নিয়মিত ঘষলেই তার স্বাভাবিক গোলাপি বর্ণ ফিরে আসবে, স্বাস্থ্যকর থাকবে।
পরিপূর্ণ স্বাদ উপভোগ করতে: বিভিন্ন খাবারের সংস্পর্শে আসা এবং নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে জিহ্বায় যে আস্তর পড়ে তা খাবারের স্বাদ উপভোগ করার ক্ষমতা কমিয়ে দিতে থাকে। তাই প্রিয় খাবারের স্বাদ সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে চাইলে নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করা জরুরি।
মুখের দুর্গন্ধ তাড়াতে: দিনে দুতিনবার দাঁত ব্রাশ করার পরও অনেকের মুখের দুর্গন্ধ যায় না। কারণ সমস্যাটা হয়ত দাঁতে নয়, সম্ভবত নোংরা জিহ্বায়। দাঁত পরিষ্কার থাকলেও জিহ্বা ব্যাক্টেরিয়ার গুদাম ঘর হয়ে উঠতে পারে, যা পুরো মুখে বাজে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
হজমের জন্য উপকারী: হজমতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন ব্যাক্টেরিয়াও জিহ্বায় থাকে। জিহ্বা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে সেগুলো খাবারের সঙ্গে হজমতন্ত্রে প্রবেশের সুযোগ পায়। এছাড়াও জিহ্বা পরিষ্কার করলে প্রচুর লালা তৈরি হয় যা খাবার ভাঙার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে।
আরও পড়ুন-