করোনাভাইরাস: ক্ষতির মুখে দেশি ফ্যাশন শিল্প

মহামারীর ছোবল পড়েছে দেশি ফ্যাশন শিল্পে। পহেলা বৈশাখে ব্যবসা হয়নি। ঈদেও রয়েছে অনিশ্চিয়তা।

রুম্পা সৈয়দা ফারজানা জামানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2020, 08:08 PM
Updated : 23 April 2020, 08:08 PM

উৎসব-পার্বণ বা ঘরোয়া কোনো আয়োজন, বিগত দেড়যুগ ধরে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় আছে দেশীয় ফ্যাশনঘরগুলো। বুটিক ও দেশি ফ্যাশন ঘরগুলোর গ্রহণযোগ্যতার কারণেই হয়ত গার্মেন্টস শিল্পে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোও এগিয়ে এসেছে নিজস্ব ব্র্যান্ড নিয়ে। সেইলর সেগুলোর মধ্যে অন্যতম।

উৎসবের এই সময়ে বিশ্বজুড়ে চলমান লকডাউনে দেশি ফ্যাশন শিল্প কতটুকু ক্ষতির সম্মুখিন তা জানালেন সেইলরের মূল প্রতিষ্ঠান ইপিলিয়ন গ্রুপের সিএসআর বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক নাজমুল আহসান স্বরূপ।

দেশীয় ফ্যাশনের অঙ্গনে পহেলা বৈশাখের সময়টিকে লকডাউন নিয়েই কথা শুরু করেন তিনি।

বিশ্বজুড়ে চলমান করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯ এর প্রকোপের সময় এরকম উৎসবের দিন যখন ধূসর হয়ে যায় তখন এর ছাপ পড়ে সবার ওপরেই। বাদ যায় না উৎসবের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি উপাদানও।

যেহেতু এখন বৈশাখ বা যে কোনো পার্বণে সাধারণ মানুষ নতুন পোশাক পরতে পছন্দ করেন, কিনেও বেশ। তাই বৈশাখ নিয়ে প্রস্তুতি আগে থেকেই নেওয়া থাকে ফ্যাশন হাউজগুলোর। ফটোশুটও হয়ে যায়।

এমন অবস্থায় যখন হঠাৎ করে স্থবিরতা চলে আসে তার প্রভাব শুধু ক্রেতা নয়, সামগ্রিকভাবে ব্যবসার ওপর পড়ে।

স্বরূপ উল্লেখ করেন, “সেইলর যেমন ইপিলিয়নের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান, সেরকম যাদের আছে তারা ক্ষতির আশঙ্কা কম করলেও যারা শুধু ফ্যাশন হাউজেরই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাদের ক্ষতির পরিমাণ বর্ণনাতীত।”

তাঁতী থেকে শুরু করে শোরুমে যারা কাজ করেন- সকলেই এই ক্ষতির ভাগীদার।

স্বরূপ আরও বলেন, “গার্মেন্টসগুলোর যে পরিমাণ অর্ডার বাতিল হচ্ছে- সেটি গোটা অর্থনৈতিক কাঠামোতে প্রভাব বিস্তার করবে লকডাউনের পরবর্তী সময়টিতে।”

৪.১ ইউএস ডলারের মতো অর্ডার বিশ্বজুড়ে বাতিল হয়েছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের। সেখানে যাদের শুধু মূল ব্যবসা ফ্যাশন হাউজ - তাদর ক্ষতির হিসাব করে কুলানো যাবে না বলে জানান তিনি।

 

যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এখন চাহিদা, সেখানে আসন্ন উৎসবে ক্রেতারা কতটুকু নতুন পোশাকের বিলাসিতাকে প্রশ্রয় দেবে- এনিয়ে নিজেই দ্বন্দ্বে আছেন সেইলর ফ্যাশন হাউজের এই প্রতিনিধি।

তিনি মনে করেন এই ক্ষতি হয়ত কিছুটা পূরণ করা সম্ভব হবে যদি প্রণোদনা বা কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়।

ইপিলিয়ন গ্রুপের পক্ষ থেকে এই ক্রান্তিকালে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকদের পাশাপাশি সাহায্যের হাত পৌঁছে গেছে তাদের কাছেও যাদের এখন বেঁচে থাকার জন্য দরকার মানবিক সহায়তা।

পাশাপাশি সেইলর বা ইপিলিয়ন গ্রুপ এই সময়ে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যাপারেও বেশি সচেতন থাকবেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন নাজমুল আহসান স্বরূপ।