সার্বিকভাবেই ত্বকের উপকার হয় এমন পরিচর্যা করা উচিত।
Published : 15 Apr 2020, 11:41 PM
কপাল, নাক ও থুতনির অংশ তৈলাক্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এমন ত্বককে মিশ্র ত্বক বলে। তবে ত্বকে ধরণ বুঝে বিভিন্ন অংশে আলাদা আলাদা প্রসাধনী ব্যবহার করা সম্ভব না।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে মিশ্র ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
ত্বক পরিষ্কার রাখা: ত্বক খুব বেশি শুষ্ক না করে এবং লোমকূপ পরিষ্কার রাখতে মৃদু জেল ধর্মী ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করুন। জেল ধর্মী পরিষ্কারকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড থাকে যা গরমে বেশি কার্যকর। এটা মৃত কোষ দূর করে এবং মুখের মলিনতা দূর করে ত্বক কোমল ও মসৃণ রাখে।
টোনিং: ত্বকের যত্নে টোনিং বাদ দেওয়া ঠিক নয়, এটা লোমকূপ সংকুচিত করে এবং অতিরিক্ত ‘সিবাম’ বা ত্বকের তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। টোনার দিয়ে ত্বকের তৈলাক্ত স্থানের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রয়োজন। ত্বকে পিএইচ’য়ের ভারসাম্য রক্ষা করতে অ্যালকোহলহীন টোনার ব্যবহার করুন।
ময়েশ্চারাইজার: ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, তবে তা যে একদম তেলবিহীনই হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। হায়ালোরোনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার মিশ্র ত্বকে খুব ভালো কাজ করে।
চোখের নিচে ময়েশ্চারাইজার: চোখের নিচের অংশে আই ক্রিম বা জেল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। অনামিকার সাহায্যে আলতো করে জেল চোখের নিচে ব্যবহার করুন এবং জোরে না ঘষে হালকা করে চাপ দিন যেন ত্বক তা সহজে শুষে নেয়।
‘সান প্রটেকশন’: জিংক অক্সাইড সমৃদ্ধ সান ব্লক ব্যবহার করা উচিত। এটা ত্বককে সূর্যের হাত থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি চিটচিটেভাব দূর করে।
রাতে ত্বকের পরিচর্চা: ত্বক পরিষ্কার করে, টোনার ও ময়েশ্চারাইজার ও রেটিনল সমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার করতে হবে। রেটিনল ব্যবহারে লোমকূপ সংকুচিত হয়। রাতে রেটিনল ব্যবহার করা ভালো, তবে দিনে এটা ব্যবহার করতে চাইলে আগে অবশ্যই সান ব্লক ব্যবহার করে নিতে হবে। ত্বক সম্পূর্ণ রেটিনলের সিরাম শুষে নিলে হাল্কা ময়েশ্চারাইজার বা ‘নাইট ট্রিটমেন্ট সিরাম’ ব্যবহার করতে পারেন।
ছবির মডেল: সারাহ ফারহা।
আরও পড়ুন-