রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হল।
সমতল চুল: সমতল চুল দেখতে উজ্জ্বল ও মসৃণ। তবে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ কষ্টকর। এই ধরনের চুল খুব সহজে তৈলাক্ত ও চিটচিটে হয়। তাই চুল চিটচিটে হলে তা ভালো রাখতে একদিন পর পর শ্যাম্পু করুন। তবে চুল যেন খুব বেশি শুষ্ক হয়ে না যায় সেদিকেও মনোযোগ দিতে হবে।
ঢেউ খেলানো চুল: ঢেউ খেলানো চুলের ধরন বুঝে এর ঘনত্ব ঠিক রাখতে উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে সপ্তাহে দুএকবার চুল ধুয়ে নিন। তেল বা বাটার সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের ভারীভাব নিয়ে আসে। তাই এই ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না।
কোঁকড়া চুল: কোঁকড়া চুলের সুবিধা হল সারা সপ্তাহই চুল দেখতে তেল মুক্ত লাগে। মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলেও চুলে এর কোন প্রভাব পড়েনা। কোঁকড়া চুল সপ্তাহে দুএকবার শ্যাম্পু করা ভালো।
রুক্ষ চুল: রুক্ষ ও নির্জীব চুল নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে কষ্টকর। এই ধরনের চুলে রং করা, তাপ প্রয়োগ করা বা রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত শ্যাম্পু শুষ্ক ‘কিউটিকেল’কে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং আগা ফাঁটার সৃষ্টি করে। প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ শ্যাম্পু দিয়ে সপ্তাহে দুতিনবার শ্যাম্পু করা ভালো। যতটা সম্ভব রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার পরিহার করতে হবে।
তৈলাক্ত চুল: চুল যেমনই হোক, চুলে তৈলাক্তভাব দেখা দিলে তা নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। চুলের ধরন চিটচিটে হলে সপ্তাহে একদিন পরপর শ্যাম্পু করা ও চুলের নিচের অংশে কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।
শুষ্ক চুল: শুষ্ক চুল সপ্তাহে দুতিনবার করে ধোয়া উচিত। এই ধরনের চুলে কোনো রকমের তাপীয় স্টাইলিং যন্ত্র ব্যবহার করা উচিত না। চুলে মসৃণভাব আনতে শ্যাম্পু করার আগে তেল ব্যবহার করুন। এটা চুলে মাস্কের মতো কাজ করে এবং কোমল ও মসৃণভাব বজায় রাখে।
আরও পড়ুন