স্বাস্থ্য সচেতনতায় ‘সোশাল মিডিয়া’র প্রভাব

দিনের একটি লম্বা সময় কাটে স্মার্টফোনে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর সমস্যা যেমন আছে, তেমনি আছে সুবিধাও।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2020, 12:16 PM
Updated : 22 March 2020, 12:16 PM

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হলো ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতাকে কীভাবে প্রভাবিত করে।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অনুপ্রেরণা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চার ছবি কিংবা ভিডিও দেখার মাধ্যমে অনেক মানুষ ওই জীবনযাত্রা বেছে নিতে অনুপ্রাণিত হন। আবার স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের আপনি অনুসরণ করতে পারবেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে, তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিজের ওজন কমানোর লক্ষ্য স্থির করতে পারেন। শুধু স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা শুরু করতেই নয়, তা ধরে রাখতেও তাদেরকে অনুসরণ করার অনুপ্রেরণা যোগাবে।

অবাস্তব আকাঙ্ক্ষা: অতিরিক্ত যে কোনো কিছুই খারাপ। তাই যাচাই-বাছাই না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কাউকে অনুসরণ করা আপনার মনে অবাস্তব আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে শরীরচর্চা কিংবা ওজন কমানো যারা মাত্র শুরু করেছেন। সুস্বাস্থ্যও তার নিজস্ব গতিতে আসবে। প্রতিটি মানুষ ভিন্ন, তার ‍স্বাস্থ্যের পরিবর্তন আসার সময়ও ভিন্ন। তাই নিজের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া যাবে না। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চলুন, সুফল আসবেই।

স্বাস্থ্য সমস্যার আলোচনা: শুধু স্বাস্থ্য সমস্যাই নয় যে কোনো সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আদর্শ স্থান। নিজের পরিচয় গোপন রেখে ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়েও আলোচনা করা যেতে পারে এখানে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, পেশাজীবী পরামর্শদাতার কাছ থেকেও পরামর্শ পেতে পারেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

নেতিবাচক মন্তব্য: স্বভাবতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেরও ভালো-খারাপ দুটো দিকই আছে। পেশাজীবী মানুষের পাশাপাশি কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষও আছে এখানে। তাই আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ক জিজ্ঞাসায় অনেক নেতিবাচক মন্তব্যের ভোগান্তিও সইতে হবে, যা মন্তব্যকারীর জন্য নিছক কৌতুক। এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সবচাইতে ভালো উপায় হবে এসব মন্তব্যকে অগ্রাহ্য করে নিজের কাজ করে যাওয়া। আর চাইলে এধরনে মানুষকে ‘রিপোর্ট’ কিংবা ‘ব্লক’ করে দিতে পারেন।

স্বাস্থ্যসেবার পরামর্শ: শরীরচর্চা বিশেষজ্ঞ, যোগব্যায়ামের গুরু, পুষ্টিবিদ ইত্যাদি আরও অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরাজমান। ফলে স্বাস্থ্য সমস্যায় পরামর্শ নিতে তারা সাহায্য করতে পারে। তবে যাই শুনবেন তাই অন্ধভাবে অনুসরণ করা যাবে না, নিজের বিচার বিবেচনার ক্ষমতা ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া পরামর্শের ব্যাপারে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে নিতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই সাবধান থাকতেই হবে। যে কোনো তথ্য অন্ধের মতো অনুসরণ না করে ভালো মতো যাচাই বাছাই দরকার হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ মানুষের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে।

আরও পড়ুন