নাক ডাকার লক্ষণ হতে পারে ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’

ঘুমের মধ্যে বারবার শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ ও খোলার সমস্যাকে বলা হয় ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2020, 11:58 AM
Updated : 15 March 2020, 11:59 AM

নাক ডাকার অভ্যাস থাকা মানুষটাকে নিয়ে পরিবার কিংবা বন্ধু মহলে প্রায়শই মজা করা হয়। তবে তার এই নাক ডাকার সমাধান নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয় খুবই কম।

প্রচণ্ড শব্দে নাক ডাকা সঙ্গে সারাদিন ক্লান্তি বোধ হতে পারে ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’য়ের পূর্বাভাস। যে রোগে ঘুমন্ত অবস্থায় রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস বারবার বন্ধ হয় এবং খোলে।

‘অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া’ মূলত ঘুমজনীত সমস্যা যেখানে ঘুমের মধ্যেই রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস বারবার আটকে যায়, পরে আবার চালু হয়। গলার পেছনের দিকের পেশিগুলো যখন শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচলের পথ খোলা রাখতে পারে না তখনই এই সমস্যা দেখা দেয়। আরেক ধরনের ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’ হল ‘সেন্ট্রাল স্লিপ অ্যাপনিয়া’ যেখানে ঘুমানোর সময় মস্তিষ্ক স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস অব্যাহত রাখতে ব্যর্থ হয়। প্রাপ্তবস্ককদের ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’তে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ হল অতিরিক্ত ওজন। যে কারণে মুখ ও গলার নরম টিস্যু মোটা হয়ে গিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ আটকে দিতে থাকে।  

লক্ষণ: দীর্ঘদিন ঘরে যারা নাক ডাকার সমস্যায় ভুগছেন তাদের ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’ দেখা দেওয়া আশঙ্কা বেশি এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া তার জন্য জরুরি। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার কারণে এই সমস্যার আক্রান্তদের ঘুমের চাহিদা পূরণ হয় না, দেখা দেয় অনিদ্রা। এছাড়াও মনযোগের সমস্যা, হতাশা, বদমেজাজ, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, কাজ করা অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়া, শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে অক্ষমতা ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয় এই রোগের কারণে।

চিকিৎসা

‘পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশান মেশিন’ এই রোগের চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত অনুষঙ্গ। বিভিন্ন ধরনের ‘ব্রিদিং মাস্ক’য়ের ব্যবহার হওয়া এই প্রযুক্তি মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’ সারাতে পারে।

‘দ্য আমেরিকান একাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিন’ এই রোগের চিকিৎসার প্রাথমিক উপায় হিসেবে ‘ওরাল অ্যাপ্লায়েন্স’য়ের ব্যবহারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এছাড়াও জীবনযাত্রার পরিবর্তনও অনেক উপকারে আসে। এদের মধ্যে আছে ওজন কমানো, ধূপমান বর্জন, মদ্যপান বর্জন, ঘুমের বড়ি ও ‘সেডেটিভ’ সেবন না করা, নিয়মিত শরীরচর্চা, ঘুমানোর আগে ‘ক্যাফেইন’ ও ভারী খাবার এড়িয়ে চলা, ঘুমের নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা, একপাশে কাত হয়ে ঘুমানো ইত্যাদি।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন