কর্মক্ষেত্রে করোনাভাইরাস ছড়ানো রুখতে

অফিস কিংবা কাজের জায়গাতেই অনেক লোকের সমাগম হয়। তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এখানেই।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2020, 10:24 AM
Updated : 9 March 2020, 10:24 AM

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তাই এখনই সতর্ক না হলে পরিণতি হতে পারে ভয়ানক।

এতকিছুর মাঝেও জীবন থেমে থাকবে না। থামবে না জীবিকার চাকাও। আর কর্মক্ষেত্র এই ভাইরাসে ছড়িয়ে পড়ার জন্য অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ স্থান, যেখানে অসংখ্য শ্রেণি-পেশার মানুষ দিনের দীর্ঘ সময় পার করেন। জনবহুল এই স্থানে তাই অবলম্বন করতে হবে চূড়ান্ত সতর্কতা।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো কর্মক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর কয়েকটি উপায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)’ সকল কর্মক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে মুক্ত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে।

এই সংস্থাগুলোর মতে, একজন আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি, নিঃশ্বাসের সঙ্গে নির্গত বাতাসের সঙ্গে এই ভাইরাস বেরিয়ে এসে বাতাসে মেশে। বাতাসে ভেসে থেকে এই ভাইরাস বিভিন্ন সমতলে গিয়ে পড়ে যেমন: চেয়ার-টেবিল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, টেলিফোন ইত্যাদিতে।

মনে রাখতে হবে কর্মক্ষেত্রে সকলেই ব্যবহার করেন এমন অনুষঙ্গ ব্যবহার করার আগে-পরে জীবাণুনাশক ব্যবহারের অভ্যাস করা এখন অত্যন্ত জরুরি।

কাজের জায়গা পরিষ্কার রাখা: কম্পিউটারের কিবোর্ড, মাউস, স্টেশনারি, টেলিফোন ব্যবহার করতে হয় প্রতিদিন। তাই ব্যবহারের পর তা এগুলো জীবাণু মুক্ত করতে হবে।

ডিসপজিবল ওয়াইপ্স: কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের ব্যবহারের জন্য ‘ডিসপোজেবল ওয়াইপ্স’ সরবরাহ করা উচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর। যাতে বহুল ব্যবহৃত অনুষঙ্গ যেমন- দরজার হাতল, রিমোট, লিফ্টের সুইচ ইত্যাদি সবাই ব্যবহারের পর সেগুলো জীবাণু মু্ক্ত করার উপায় সবার হাতের কাছে থাকে। 

স্যানিটাইজার রাখা: শুধু প্রতিষ্ঠানের ওপর ভরসা করে বসে থাকা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তাই নিজের ও আশপাশের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সবারই উচিত ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’, ‘হ্যান্ড রাব’ ইত্যাদি সঙ্গে রাখা। খোলা সাবানের পরিবর্তে ‘সোপ ডিসপেনসার’ ব্যবহার করতে হবে কর্মক্ষেত্রে সকল স্থানে এবং তাতে সবসময় সাবান থাকাটাও নিশ্চিত করতে হবে।

সচেতনতা: ভাইরাস সম্পর্কে নিজে সঠিক তথ্য জানা, মানুষকে জানানো এবং বিভ্রান্তি দূর করার দায়িত্ব সবাই নিতে হবে নিজ উদ্যোগে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে যেন আতঙ্ক ছড়ানো না হয়। আর করোনাভাইরাসের সামান্যতম লক্ষণ দেখা দিলেও থাকতে হবে ঘরে, যাতে নিজের মাধ্যমে এই ভাইরাস সম্ভাবনার মাত্রা কমানো যায়।

আরও পড়ুন-