করোনাভাইরাস- আতঙ্ক নয়, চাই সাবধানতা

সাবধান থাকা অবশ্যই ভালো, তবে আতঙ্ক কখনই ভালো নয়।

লাইফস্টা্ইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2020, 12:29 PM
Updated : 7 March 2020, 12:29 PM

করোনাভাইরাসের কথা এখন প্রায় সবার জানা। আশপাশের কেউ হাঁচি-কাশি দিলেই সবার আগে এই ভাইরাসের কথাই মাথায় আসে।

ভারতের ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স’য়ের ‘পালমোনোলজিস্ট’ বা শ্বাসপ্রশ্বাস সম্বন্ধীয় বিশেষজ্ঞ ডা. করন মাদান বলেন, “করোনাভাইরাসের অধিকাংশ উপসর্গই মিলে যায় সাধারণ মৌসুমি সর্দিজ্বরের সঙ্গে। তাই কারও সমস্যা যদি মৃদুমাত্রার হয় তবে আমরা বলব করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে তার চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। মৃদুমন্দ জ্বর, কাশি, কফ ইত্যাদি হলে বিশ্রাম নিন এবং প্রচুর তরল পান করুন।”

“করোনাভাইরাস কয়েক ধরনের আছে, যার মধ্যে কিছু ভাইরাসের আক্রমণে সামান্য শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়। তবে আমরা চিন্তিত সেইসব রোগীদের নিয়ে যাদের প্রচণ্ড জ্বর এবং দম বন্ধ হয়ে আসার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তাদের নিয়ে।”

তিনি আরও বলেন, “ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং করোনাভাইরাসে উপসমের মধ্যে অনেক মিল। এখনও পর্যন্ত এই দুই ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য ধরতে পারা বেশ জটিল। নাক দিয়ে পানি আসলে, সামান্য ঠাণ্ডা লাগলে, জ্বর হলে সবার উচিত হবে বিশ্রাম নেওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শে ভাইরাস-রোধক ওষুধ সেবন করা।”

ভারতের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ ডাইনামিক্স, ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিসি’র মহাপরিচালক প্রফেসর রামানান লক্ষ্মিনারায়ন বলেন, “যেসব প্রবীণ একাধিক রোগে ভুগছেন যা পরস্পরকে প্রভাবিত করে কিংবা যারা হৃদরোগ ভুগছেন, ইতোমধ্যেই স্ট্রোক করেছেন, তীব্র শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন তাদের বিপদ বেশি। কারণ করোনাভাইরাসে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রবীণরাই।”

প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে লক্ষ্মিনারায়ন বলেন, “হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। মানুষের করমর্দন যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে, অপরিষ্কার হাত দিয়ে মুখমণ্ডল স্পর্শ করা বর্জন করতে হবে, ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে বিশেষ সচেতন হতে হবে, অসুস্থ মানুষ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কোনো স্থান নিয়ে আশঙ্কা থাকলে তা ভাইরাসমুক্ত করতে ‘হাইড্রোজেন পারোক্সাইড’ ব্যবহার করতে হবে। হাঁচি-কাশি দিতে হবে কনুইয়ের ভাঁজে। নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি আশপাশের মানুষদেরও সচেতন করতে হবে।”

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন-