বেগুনি খাবারের উপকারিতা

বয়সের ছাপ ধীর করতে চাইলে বেগুনি রংয়ের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2020, 01:21 PM
Updated : 24 Feb 2020, 01:26 PM

বেগুনি খাবারের নাম হিসেবে প্রথমেই মাথায় আসে বেগুনের নাম। বেগুনের গুণ নাই- এই কথা ঠিক নয়। আবার বেগুনি ফল সবজিতেও রয়েছে নানান গুণ।

পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে বেগুনি বা নীলচে খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি। যেটার নাম ‘অ্যান্থোসায়ানিন’। এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট কোষের ক্ষয় পূরণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া ধীর করে।

পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে বেগুনি খাবারের আরও উপকার সম্পর্কে জানানো হল।

আলুবোখারা: কম ক্যালরি যুক্ত তবে ভিটামিন এ, সি, কে এবং খনিজ উপাদান পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়াও রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। পাম ফল তাজা অথবা শুকনা যে কোনো ভাবেই খাওয়া যায়।   

বেগুন: ভিটামিন বি, নায়াসিন এবং আঁশ সমৃদ্ধ। এটা হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সহায়তা করে। ‘ফ্রি র‌্যাডিকেল’ থেকে রক্ষা করে এবং কোষের কার্যক্রিয়ায় সহায়তা করে।

বেগুনি বাঁধাকপি: প্রহাদ কমায়, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন সমৃদ্ধ। আরও রয়েছে ফ্লাভানয়েডস। এই সবজি কাঁচা, ভাঁপানো, সিদ্ধ বা রান্না যে কোনো উপায়েই খাওয়া যায়। 

কালোজাম: এক বাটি জাম ভিটামিন সি’য়ের দৈনিক চাহিদার ৩৫ শতাংশ পূরণ করতে পারে। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম। ভিটামিন কে’র ভালো উৎস। এছাড়াও এটা ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ যা জ্ঞ্যানীয় ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

বিট: যকৃত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এর বিটেইন উপাদান যকৃতের দূষণ দূর করে। এটা পাচক রস পরিমিত মাত্রায় পাতলা করতে পারে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যকৃতের জারণ ক্ষয় থেকে রক্ষা করে। বিটরুট রক্ত ও হৃদয়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।  

এর নাইট্রেইট উপাদান থেকে হয় নাইট্রিক অক্সাইড, যা রক্ত সঞ্চালনের মান উন্নত করে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। এটা লোহিত রক্ত কণিকার কোষ ভালো রাখে, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সমুন্নত রাখে এবং শরীরে অক্সিজেন সরবারহে সহায়তা করে। বিট দিয়ে স্বাস্থ্যকর সালাদ তৈরি করে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন