চাকরির সাক্ষাৎকারে বাদ পড়ার কারণ

সাধারণ কারণগুলো জানা থাকলে চাকরির সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সাবধান হওয়া যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2020, 01:07 PM
Updated : 20 Feb 2020, 01:07 PM

একের পর এক চাকরির সাক্ষাৎকার দেওয়ার পরও কোনো সুখবর না পাওয়ার হতাশার স্বাদ একমাত্র ভুক্তভোগীই বোঝে। বিশেষ করে ভালো ‘ইন্টারভিউ’ দেওয়ার পর স্বভাবতই প্রার্থীর মনে আশা জাগে। অধীর আগ্রহে পরের সংবাদের অপেক্ষা করতে থাকে। সেই অপেক্ষা যেমন দুঃসহ তেমনি অবশেষে কোনো খবর না আসা হতাশার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ।

কর্মী নিয়োগ দেওয়ার দায়িত্বে থাকা মানুষগুলো প্রতিটি প্রার্থীর আবেদন চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন। ফলে কোনো ভুলই তাদের চোখের আড়াল হয়না। আবার কী কারণে একজন চাকরি প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হল সেটাও তাকে জানানো হয়না। ফলে প্রার্থী জানতেই পারেন না বাতিল হওয়ার কারণ।

কর্মজীবন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হলো সাক্ষাৎকারেই চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা বাতিল হওয়ার কয়েকটি কারণ সম্পর্কে।

চাহিদার তুলনায় কম কিংবা বেশি যোগ্য: চাকরির বিজ্ঞাপনে প্রার্থীর শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতার বিবরণ দেওয়া থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। তবে প্রায় অর্ধেক প্রার্থী বাদ পড়ে যান প্রতিষ্ঠানের কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতার মানদণ্ডে। আবার কিছু প্রার্থী থাকেন যাদের যোগ্যতা ওই পদের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার তুলনায় বেশি। দুটি কারণই একজন প্রার্থীকে নাকচ করে দেওয়ার জন্য যৌক্তিক কারণ।

আবেদনের সময়ানুবর্তীতা: সকল চাকরির বিজ্ঞাপনেরই আবেদনের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। এই সময়সীমার মধ্যে আসা আবেদনগুলোই শুধু বিবেচনায় আনা হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে। অনেকসময় আবেদনের সময়সীমার শেষের দিকে আসা আবেদনগুলো বিবেচকদের অগোচরে থেকে যেতে পারে। এর কারণ হয়ত অনেক আবেদন আসা কিংবা ইতোমধ্যেই কয়েকজন আবেদনকারী নিয়োগ কর্তাদের প্রাথমিক পছন্দের তালিকায় এসে গেছেন। তাই আবেদনের সময় সম্পর্কে খেয়াল রাখা সবসময়ই জরুরি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- বিনোদন ও যোগাযোগের মাধ্যমের গণ্ডি পেরিয়ে এখন তা আমাদের অস্তিত্বের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিঙ্কডইন, ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি মাধ্যমগুলো একজন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিত্বের একটি অংশ। তাই অনেক নিয়োগ কর্তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রার্থীর প্রোফাইল দেখে থাকেন। ফলে প্রার্থীদেরও উচিত হবে এই মাধ্যমগুলোতে পেশাদারীত্ব বজায় রাখা।

উপার্জনের অঙ্ক: প্রতিষ্ঠানের ওই শূন্য পদটিতে কার স্থান হবে সেটা নির্ধারণের বিষয়টা সবচাইতে বেশি নির্ভরশীল বেতনের অঙ্কটার ওপরেই। প্রার্থীর যোগ্যতার বিচারেই এই বেতনের অঙ্কটা নির্ধারিত হয়। তবে যোগ্যতার মূল্যায়নের মাপকাঠি সব প্রতিষ্ঠানের সমান হয়না কখনই। তাই যেখানে আবেদন করছেন তাদের বেতনের অঙ্কটা যদি প্রার্থীর বর্তমান উপার্যনের চাইতে কম হয় তবে স্বভাবতই প্রার্থী সেখানে যোগদান করবেন না। অপরদিকে নিয়োগ কর্তারাও প্রার্থীর অভিজ্ঞতার আলোকে তার উপার্জনের মাত্রা আন্দাজ করার চেষ্টা করেন। তাই তাদের যদি মনে হয় তারা শূন্য পদটির জন্য যে বেতন নির্ধারণ করেছেন তা একজন প্রার্থীর উপার্যনের চাইতে কম কিংবা তিনি ওই বেতনের রাজি নাও হতে পারেন তবে ওই প্রার্থীকে হয়ত সাক্ষাৎকারের জন্যও ডাকা হবে না।

বেশভূষা: নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে চাকরি প্রার্থীর প্রথম দেখা হয় ওই সাক্ষাৎকারের দিনটিতেই। তাই এইদিনে প্রার্থী সম্পর্কে যে ধারণা জন্মাবে সেটা চাকরি হওয়া কিংবা না হওয়ার পেছনে বড় ভুমিকা রাখবে। এই দিনে প্রার্থীর বেশভূষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এমনকি, প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কর্মীরা ‘ক্যাজুয়াল’ পোশাকে কাজ করলেও সাক্ষাৎকারের দিনটিতে ‘ফরমাল’ পোশাক পরাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আবার অতিরিক্ত সাজগোজ করাও ঠিক হবে না। পোশাকে থাকতে হবে পেশাদারীত্ব ও কাণ্ডজ্ঞান দুইয়ের বহিঃপ্রকাশ।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন