ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় যে খাবার

রাতে ঘুমের ১২টা বাজাতে মাত্র একটা খাবারই যথেষ্ট।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2020, 12:39 PM
Updated : 12 Feb 2020, 12:41 PM

পিৎজা, বিশেষ করে পেপেরনি পিৎজা যদি ঘুমের আগের খাওয়া হয় তবে অ্যাসিডিটির সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটাবে।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও জানায়, যদি মরিচের গুঁড়া দিয়ে এই মজাদার খাবার খাওয়া হয় তাহলে তো কথাই নেই। অবস্থা হবে আরও খারাপ।

কারণ

যাদের হজমতন্ত্রে সমস্যা আছে তারা ইতিমধ্যেই জানেন পিৎজা খাওয়ার পর গ্যাসের সমস্যা ‘হার্টবার্ন’ হয়। আর তা থেকে নিস্তার পেতে ‘অ্যান্টাসিড’ ধরনের ওষুধ খেতেই হয়। পেপেরনি’র ঝাল আর টমেটো সসের অ্যাসিড মিলে পাকস্থলীতে অম্লভাবের তৈরি করে বা অবস্থা আরও খারাপ হয়।

নিউ ইয়র্কের পুষ্টিবিদ এরিন পালিনস্কি-ওয়েড এই বিষয়ে বলেন, “পনিরের চর্বি এবং টমেটো সসের অ্যাসিড মিলে ঘুমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।”

“মাত্রাতিরিক্ত অ্যাসিড-জাতীয় খাবার ‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স’ ঘটায়, বিশেষ করে ঘুমের আগে খেলে; মানে রাতে। এমনকি গ্যাসের কারণে বুক জ্বালাপোড়া না করলেও আধো ঘুম আধো জাগরণের কারণে পরদিন ক্লান্তি অনুভূত হবেই।”

“আর আমরা সবাই জানি, রাতে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়।”

‘হার্টবার্ন’ বা বুক জ্বালাপোড়া ছাড়াও পনিরের মাত্রাতিরিক্ত চর্বি জন্য হজমে সমস্যা হতেই পারে। ফলে সারারাত কাটতে পারে পেট খারাপের ওষুধ খেয়ে। ফলাফল বাজে ঘুম। এছাড়া পনিরে আরেকটি উপাদান আছে যা রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ হতে পারে।

সস এবং চিজ বা পনির খুবই সুস্বাদু। যে কারণে পিৎজা খেতেও অনেক মজা লাগে। তবে এটা হজমতন্ত্রে বিশেষ করে পাকস্থলীতে চাপের সৃষ্টি করে। আর সেটার কারণ হচ্ছে দুগ্ধজাত খাবারে থাকা শর্করা বা ‘ল্যাক্টোজ’।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেল্থ’য়ের সূত্র মতে, পৃথিবীর প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষের পেট ল্যাক্টোজ সহ্য করতে পারে না।

বয়স বাড়ার সঙ্গে হজম রসের ক্ষমতা কমে। ফলে ল্যাক্টোজ হজম করা কঠিন হতে থাকে দিনকে দিন। আর মলাশয়ের ব্যাক্টেরিয়া এই ল্যাক্টোজ খেতে খুবই পছন্দ করে। যার ফলাফল হচ্ছে পেটে অস্বস্তি, যেমন- ফোলাভাব, গ্যাস বা ডায়রিয়া।  

তাই রাতে ঘুমের আগে বেশি পরিমাণে দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর পেট খারাপ হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যা থেকে ঘুমের সমস্যা হবেই। তাই অবশ্যই ঘুমের আগে বা রাতে পিৎজা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন