সকালের জড়তা কাটাতে সুরেলা অ্যালার্ম

সুমধুর সুরেলা অ্যালার্মে ঘুম ভাঙলে সকালের জড়তাও কাটে তাড়াতাড়ি।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2020, 02:57 PM
Updated : 3 Feb 2020, 02:57 PM

সকালে তাড়াতাড়ি ওঠার জন্য কর্কশ উচ্চ শব্দের অ্যালার্ম শ্রেয় মনে হলেও ব্যাপারটা আসলে উল্টো। বরং কর্কশ অ্যালার্ম সকালে জড়তার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে সুরেলা অ্যালার্ম বাড়াতে পারে শরীরের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা।  

‘পিএলওএস ওয়ান’ নামক জার্নালে প্রকাশিত হওয়া এই পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণার জন্য অংশ নেয় ৫০ জন মানুষ, পদ্ধতি ছিল ‘অনলাইন’ জরিপ। প্রত্যেকেই তাদের পছন্দের ‘অ্যালার্ম’য়ের সুর সম্পর্কে জানান এবং নিজেদের মেজাজ ও মানসিক সতর্কতার মাত্রা বর্নণা করেন।

গবেষণার প্রধান, যুক্তরাষ্ট্রের আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি’র ‘ডক্টরাল রিসার্চার’ স্টুয়ার্ট ম্যাকফার্লেন বলেন, “সকালের খিটখিটে মেজার দৈনন্দিন জীবনের একটি বড় সমস্যা। সকালে ঘুম থেকে ঠিকভাবে জেগে না উঠলে পরবর্তী প্রা চার ঘণ্টা পর্যন্ত যেকোনো কাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে, যার ফলাফল হতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।”

তাই গবেষকরা মনে করেন, ঘুম থেকে উঠেই যাদের পূর্ণ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হয় যেমন- জরুরি অবস্থা মোকাবেলাকারী কর্মী কিংবা ‘শিফট’ভিত্তিক কর্মী, তাদের জন্য এই গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ।

ম্যাকফার্লেন বলেন, “ঘুম থেকে ওঠার জন্য সবচাইতে ভালো সুর, তাল, লয় কোনটি তা জানতে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন। কারণ অসংখ্য মানুষ দিন শুরু করেন এই ‘অ্যালার্ম’য়ের শব্দ শুনে। আর কেমন শব্দে ঘুম ভাঙল তা হয়ত সারাদিনের কাজের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে যারা ঘুম থেকে উঠেই ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন। যেমন- দমকল বাহিনী, বিমান চালক। এমনকি গাড়ি চালিয়ে অফিসে যাওয়া মানুষটির জন্যও এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।”

এই গবেষণার আলোকে তৈরি হতে পারে ঘুম থেকে জেগে ওঠার নতুন পদ্ধতির সুচনা যা সেই অনুভূতিকে আরও প্রশান্তির করে তুলবে।

আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি’র সহযোগী অধ্যাপক এবং এই গবেষণার সহকারী লেখক অ্যাড্রিয়ান ডায়ার বলেন, “এই গবেষণা গুরুত্বপুর্ণ। কারণ ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’য়ে কর্মরত ‘নাসা’র মহাকাশচারীরাও বলেন ঘুম থেকে ওঠার সমস্যার কারণে তাদের কাজে সমস্যা হয়। কর্কশ শব্দ শুনে ঘুম থেকে ওঠার কারণে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যাবলী ব্যাহত হয়। তবে প্রিয় কোনো গানের সুরে ঘুম থেকে ওঠা হয়ত মস্তিষ্কের জন্য সুখবর হবে। এবিষয়ে আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে পারলে বিভিন্ন খাতে উপকার হবে।”

ছবি: রয়টার্সের ভিডিও থেকে।

আরও পড়ুন