শিশুর ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল। তাই বেছে নিতে হবে মৃদু মাত্রার ‘ডিটারজেন্ট’।
সাধারণ ‘ডিটারজেন্ট’ কাপড় পরিষ্কার করে ঠিক, তবে কাপড়ে ‘ডিটারজেন্ট’ কিছুটা থেকেই যায় যা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সমস্যা না হলেও শিশুর সংবেদনশীল ত্বকে সৃষ্টি করতে পারে জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি, অ্যালার্জি।
ভারতের হিমালয়া ড্রাগ কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত ‘ডিসকোভারি সাইন্সেস গ্রুপ’য়ের সুভাশিনি এন.এস বলেন, “সাধারণ ডিটারজেন্ট কাপড়ের বুননের ফাঁকে আটকে যায়, যা পরিধানকারীর ত্বকের সংস্পর্শে থাকে সবসময়। এথেকেই সৃষ্টি হয় অ্যালার্জি ও অন্যান্য অস্বস্তিকর অনুভূতি। তাই নবজাতকের কাপড় পরিষ্কারের জন্য বিশেষ ‘ডিটারজেন্ট’ ব্যবহার করা নিরাপদ হবে।”
কোন ‘ডিটারজেন্ট’ ভালো হবে সে ব্যাপারেও পরামর্শ দেন সুভাশিনি।
তিনি বলেন, “প্রথম ধাপ হবে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান নেই এমন ‘ডিটারজেন্ট’ খুঁজে বের করা। ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানের মধ্যে আছে ফসফরাস, প্যারাবেনস, এসএলএস/এসএলইএস/এএলএস, সিনথেটিক কালার, ব্লিচ ও সিলিকেটস। ত্বকের জন্য এই রাসায়নিক উপাদানগুলো অস্বস্তিকর। তাই এগুলো পরিহার করে প্রাকৃতিক উপাদান যেমন- নিম ও লেবুর নির্যাস দিয়ে তৈরি ‘ডিটারজেন্ট’ বেছে নিতে হবে। নিম ধ্বংস করবে ‘মাইক্রোবস’, আর লেবু কাপড়ের গন্ধ দূর করবে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্লিচ ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানের ক্ষতিকর প্রভাব যথেষ্ট গুরুতর। আর শিশুর ব্যবহৃত কাপড় পানিতে গোলানো ‘ডিটারজেন্ট’ দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত সবসময়, এতে কাপড় নরম থাকে।
শিশুর ত্বকের যত্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর তার পরিধেয় কাপড় কী দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে সেটাও ত্বকের যত্নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিত এবিষয়ে সতর্ক হওয়া।
আরও পড়ুন