মেইকআপের যে চার কৌশল মাথায় রাখা দরকার

অতিরিক্ত মেইকআপের কারণে মুখে আসে কৃত্রিমভাব। মেইকআপ ব্যবহার হওয়া উচিত পরিমিত ও নিয়ন্ত্রিত।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2020, 11:30 AM
Updated : 19 Jan 2020, 11:30 AM

সাজসজ্জা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে মেইকআপ ব্যবহারের কয়েকটি ধাপ সম্পর্কে জানানো হল।

ব্লাশ ব্যবহারের আগে ভ্রু একে নিন: দিল্লির মেইকআপ বিশেষজ্ঞ শেগুন গুপ্তা বলেন, “আই শ্যাডো ও গালে ব্লাশ ব্যবহারের আগে ভ্রু এঁকে নিতে হবে। এমনভাবে ভ্রু আঁকা উচিত যেন তা চেহারার সঙ্গে মানানসই হয়।”

তিনি মোটা ও সুন্দর আকারের ভ্রু রাখার পরামর্শ দেন। ভ্রু শেইপ করার ক্ষেত্রে চেহারার কাঠামোর কথা মাথায় রাখতে হবে। দুই ভ্রুয়ের মাঝখানে নাকের সঙ্গে মানানসই ভাবে যথেষ্ট স্থান খালি রাখা উচিত।

ভ্রুয়ের শুরু অংশের মতো শেষের অংশেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।

ভারতীয় রূপবিশেষজ্ঞ অনুজ দগ্রা জানান, ভ্রুয়ের মাঝে অংশ কোণাকৃতি করাটাকে আদর্শ ভ্রুয়ের আকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অন্ধভাবে মেইকআপের ভিডিও অনুসরণ না করা: গুপ্তা সতর্ক করে বলেন, “ভিডিওতে যে সকল চোখের মেইকআপ দেখা যায় তা খুবই বিভ্রান্তিকর। এগুলো অধিকাংশক্ষেত্রেই পেশাদারভাবে সম্পাদিত। ফলে নিজে এগুলো করে দেখতে গেলে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায় না।”

চোখে সুন্দরভাবে আই শ্যাডো ব্যবহার করতে গেলে প্রথমেই চোখের পাতায় প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে, এতে শ্যাডোর রং সঠিকভাবে বোঝা যাবে। পোশাকের সঙ্গে মিল করে শ্যাডো ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন এই রূপবিশেষজ্ঞ।

ভালো রং পেতে ম্যাট আই শ্যাডো ব্যবহার করার পরামর্শ দেন, দ্রগা। আর শিমার ব্যবহার করতে চাইলে তা উপরের পাতায় ব্যবহার করতে বলেন। অক্ষি কোটরে শিমার ব্যবহার করা হলে চোখ দেখতে অনেকটা গর্তের ভেতরে মনে হয়। অন্যান্য বিষয় যেমন- কাজলের পরিমাণ, লাইনারের আকার এবং মাস্কারার দিকেও মইনোযোগী হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শ্যাডো সুচালো বা সুনির্দিষ্ট আকৃতিতে ব্যবহার না করে ভালো মতো মিশিয়ে ব্যবহার করুন। আর হাইলাইটার ভ্রুয়ের ঠিক নিচ বরাবর ব্যবহার করতে হবে। তা যেন চোখের কোটরের হাড়ের দিকে চলে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।

হাইলাইটার: মুখে অতিরিক্ত হাইলাইটার ব্যবহার করা গুপ্তা পছন্দ করেন না। তিনি মনে করেন, হাইলাইটার ত্বকে উজ্জ্বলভাব বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। তা নাকের ওপর ‘বাল্ব’ তৈরি করারা জন্য নয়।

নাকের ওপর হাইলাইটার ব্যবহার করলে তা দেখতে তৈলাক্ত ‘টি-জোন’য়ের মতো মনে হয়। তাছাড়া হাইলাইটার ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি করে।

গুপ্তা, হাইলাইটার ব্যবহার না করে গ্লিটার আইলাইনার বা অন্য কোনোভাবে গ্লিটার ব্যবহার করে ত্বকে উজ্জ্বলভাব আনার পরামর্শ দেন।

দোগ্রা সবসময় মুখের উঁচু অংশে হাইলাইটার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। সারা মুখে হাইলাইটার ব্যবহার করা হলে মুখ দেখতে তৈলাক্ত লাগে বলে জানান তিনি। ভারতীয় স্কিন টোন এমনিতেই দেখতে পিচ-রাঙা। তাই এটাকে আরও বেশি হাইলাইট করার প্রয়োজন হয়না।  

ঠোঁটের সাজ: লিপ্সটিক ব্যবহারের সময় তা আগে থেকে এঁকে নেওয়া ভালো বলে মনে করেন, দোগ্রা। প্রথমে ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে তা লিপ লাইনার দিয়ে একে নিতে হবে। এরপর তা পছন্দের লিপ্সটিক দিয়ে ভরাট করে নিন। তার মতে, ঠোঁট বড় করে একে লিপ্সটিক ব্যবহার করলে দেখতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ফোলা দেখায়।

ত্বক শুষ্ক হলে খুব বেশি পাউডার ব্যবহার করা যাবে না। এতে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। পাউডার ব্যবহার করতে ভেজা স্পঞ্জ নিয়ে তার ওপরে পাউডার ছিটিয়ে ত্বকে চাপ দিয়ে ব্যবহার করুন। এছাড়া হাল্কা প্রেসড পাউডার বা ট্রান্সুলেন্ট কম্প্যাক্ট ব্যবহার করুন।

ভারতীর ত্বকে খুব বেশি ব্রোঞ্জার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। নিজের ত্বকের চেয়ে তিন-চার শেইড গাঢ় রং ব্যবহার করুন চোয়াল বরাবর। তবে মনে রাখতে হবে যাদের কপাল ছোট এটা তাদের জন্য উপযুক্ত নয়।

আরও পড়ুন