যেসব প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম মিষ্টি তৈরি করছেন তারা হয়ত টাইপ টু ডায়াবেটিসে হওয়াতেও ভূমিকা রাখছেন।
‘কারেন্ট অ্যাথেরোসক্লরোসিস’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, যারা স্বল্প ক্যালরির কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করছেন তাদের ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশি। যা কিনা ভোক্তাদের আশার বিপরীত।
গবেষকরা জানান, নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে এই পরীক্ষা চালানো হলেও দেখা গেছে কৃত্রিম মিষ্টি ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।
এই গবেষণার গবেষক ‘ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়া’র অধ্যাপক পিটার ক্লিফটন বলেন, “এলসিএস বা ‘লো-ক্যালরি সুইটেনার্স’ ব্যবহারের পরিমাণ গত বিশ বছরে শিশুদের ক্ষেত্রে ২০০ শতাংশ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।”
সুক্রোজ, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ এর জায়গায় এই ধরনের স্বল্প ক্যালরির কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করা হয়। ক্যালরিহীন এসব মিষ্টিতে থাকে অতিরিক্ত মিষ্টি স্বাদ। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে এগুলো স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে।
গবেষকদের তথ্যানুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫ হাজার ১৫৮ জনের ওপর সাত বছর ধরে করা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে কম গ্রহণকারীদের তুলনায় যারা বেশি কৃত্রিম মিষ্টি গ্রহণ করেছেন তাদের ওজন বেড়েছে বেশি।
ক্লিফটন বলেন, “কৃত্রিম চিনি গ্রহণকারীরা তাদের মোট চিনি গ্রহণের পরিমাণ কমায় না। তারা কৃত্রিম ও অকৃত্রিম দুই ধরনের মিষ্টি-ই ব্যবহার করেন। আর মানসিকভাবে স্বস্তিতে থাকেন যে তারা প্রিয় খাবারটি খেতে পারবেন।”
তিনি আরও বলেন, “কৃত্রিম মিষ্টি অন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়ার ওপরেও প্রভাব বিস্তার করে যা থেকে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।”
‘আর্টিফিশিয়ালি সুইটেন্ড বেভারেজ (এএসবি) বা কৃত্রিম মিষ্টিযুক্ত পানীয় হৃদসংক্রান্ত রোগ হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। আর বয়স্ক ব্যক্তিদের স্ট্রোক ও স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত করতে ভূমিকা রাখে। তবে কেনো এরকম হয় সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।
ক্লিফটন বলেন, “স্বল্প ক্যালরির কৃত্রিম মিষ্টি গ্রহণের চাইতে ভালো পন্থা হল স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। যার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অপরিশোধিত শষ্য, দুগ্ধজাত ও সামুদ্রিক খাবার, শিম বা মটরজাতীয় খাদ্য, সবজি, ফল এবং পানি।”
আরও পড়ুন