উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ভেষজ উপাদান

কিছু ভেষজ উপাদান এই সমস্যাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকাংশে সাহায্য করে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2019, 12:54 PM
Updated : 9 Dec 2019, 12:54 PM

ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের সাধারণত নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করতে হয়। আর ওষুধের পাশাপাশি কিছু প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদানও এই দুই সমস্যার ক্ষেত্রে উপকারী।

ডায়াবেটিস আর উচ্চ রক্তচাপ আজকাল সবঘরেই পৌছে গেছে। আর দুটি রোগই সঠিক পরিচর্যার অভাবে মোড় নিতে পারে আরও একাধিক ভয়ংকর রোগের দিকে যার মধ্যে প্রথমসারিতেই আছে ‘স্ট্রোক’, দৃষ্টিশক্তি লোপ, হৃদরোগ, বৃক্কের সমস্যা, ‘হার্ট অ্যাটাক’, ‘ভাস্কুলার ডিমেনসিয়া’, ‘পেরিফেরাল ব্লাড ভেসেল ডিজিস ইত্যাদি মারাত্বক রোগ। তাই রক্তচাপ আর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। আর এই দুটি রোগে যারা আক্রান্ত তাদের নিয়মিত ওষুধ সেবন করে যেতে হয়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানানো হল এমন কয়েকটি ভেষজ উপাদান সম্পর্কে।

তুলসি: রক্তচাপ কমাতে তুলসি অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা রাসায়নিক উপাদান ‘ইউজেনল’ সেই উপাদানগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে যা রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট করে। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। তুলসি পাতা গ্রহণের সবচাইতে সহজ উপায় হল চায়ের পানিতে ফুটিয়ে তা পান করা।

রসুন: শীতকালে স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই রসুন খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। মসলাজাতীয় এই ভেষজ উপাদান শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, সঙ্গে দেয় নানান উপকারিতা। শরীরে ‘নাইট্রিক অক্সাইড’য়ের মাত্রা বাড়ানোর মাধ্যমে রসুন রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ‘নাইট্রিক অক্সাইড’ রক্তনালী শিথিল ও প্রসারিত করে যা পক্ষান্তরে রক্তচাপ কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন সুগম করে।

দারুচিনি: কেক বানানো থেকে তরকারি রান্না- সবকিছুতেই আছে এই গরম মসলা। তবে রক্তচাপ কমাতেও এর জুড়ি নেই। আকস্মিক উচ্চ রক্তচাপ কিংবা দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা, দুই ক্ষেত্রেই সমান কার্যকর দারুচিনি।

হলুদ: এই মসলায় থাকা ‘কারকিউমিন’য়ের গুণগান ইতোমধ্যেই প্রায় সকলেই জেনে গেছেন। তারমধ্যে রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ দুটাই রয়েছে। দীর্ঘ নয় মাসের গবেষণায় ২৪০ জন ‘প্রি-ডায়াবেটিক’ অর্থাৎ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ‍ঝুঁকিতে আছেন এমন মানুষকে নিয়মিত ‘কারকিউমিন’ ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এদের মধ্যে তিনজন নয় মাস পর ডায়াবেটিসে আক্রান্তই হননি।

মেথি: ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে মেথির কার্যকারিতা গবেষকরা ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছেন। ২৫ জন ‘টাইপ টু ডায়াবেটিস’য়ে আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে করা গবেষণায় দেখা যায় তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে মেথি অত্যন্ত উপকারে এসেছে। নিয়মিত ১০ গ্রাম মেথি পানিতে ভিজিয়ে খেলে ‘টাইপ টু ডায়বেটিস’ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়।

আদা: তরকারি আর চায়ে আদার উপস্থিতি বহুকাল ধরেই আছে। হজমের ক্ষমতা বাড়াতে এবং রক্তচাপ কমাতে আদা অত্যন্ত কার্যকর। এই মসলার আছে দারুণ ‘অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক ইফেক্ট’, যা কমাতে পারে ‘সেরাম টোটাল কোলেস্টেরল’, ‘ট্রাইগ্লিসারাইড’, আর বাড়ায় ‘এইচডিএল’ বা উপকারী কোলেস্টেরল। ডায়াবেটিসের কারণে অনেক সময় বুকে জ্বালাপোড়া দেখা দেয় যা সারাতেও কাজে আসে আদা।

আরও পড়ুন