হাঁটু ব্যথায় ঘরোয়া প্রতিকার
লাইফস্টাইল ডেস্ক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 24 Nov 2019 05:32 PM BdST Updated: 24 Nov 2019 05:32 PM BdST
গরম বা ঠাণ্ডা ভাপ দেওয়া ছাড়াও ব্যথা কমানোর জন্য রয়েছে হরেক পন্থা।
বয়স বাড়ার সঙ্গে হাড়ের জোড় ক্ষয় হওয়া থেকে হাঁটুর ব্যথায় ভোগা মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। আবার অপ্রত্যাশিত আঘাত, দুর্ঘটনা ও বিভিন্ন রোগের কারণে তরুণ ও মধ্যবয়স্কদের মাঝেও এই সমস্যা দেখা যায় প্রায়শই। কারণ যাই হোক না কেনো, হাঁটু ব্যথা দৈনিক জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে যায়।
হাঁটু ব্যথা কমানোর জন্য রয়েছে কিছু প্রচলিত তবে প্রতিষ্ঠত পন্থা।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারিত।
‘এসেন্সিয়াল অয়েল’ দিয়ে মালিশ: শুধু হাঁটু নয়, শরীরের সকল জোড়ের ব্যথায় মালিশ অত্যন্ত উপকারী। আর এই মালিশের কাজে ‘এসেনশল অয়েল’ ব্যবহার করাটা আরও উপকারী হতে পারে। আদা এবং কমলা থেকে তৈরি ‘এসেনশল অয়েল’ হাঁটু ব্যথা সারাতে সহায়ক। এই তেলগুলো পেশি সিথিল করে এবং আক্রান্ত অংশের ব্যথা কমায়।
তাপ ও ঠাণ্ডা: ব্যথা আক্রান্ত অংশে গরম ভাপ দেওয়া এবং বরফ প্রয়োগ করা দুটোই উপকারী। তবে ব্যথার ধরনের উপর নির্ভর করবে ভাপ নেবেন না কি বরফ ঘষতে হবে।
হাঁটুতে সংক্রমণ বা প্রদাহ থাকলে গরম ভাপ দেওয়া যাবে না, কারণ তাতে সমস্যার তীব্রতা বাড়তে পারে। দীর্ঘমেয়াদি হাঁটুর ব্যথা যেমন- বাতের কারণে হওয়া ব্যথার নিরাময়ে গরম ভাপ দেওয়া অত্যন্ত কার্যকর। আর খেলাধুলা ও দুর্ঘটনা থেকে হওয়া ব্যথায় বরফ প্রয়োগ করতে হবে।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: এতে থাকা প্রদাহনাশক উপাদান বাতের মতো দীর্ঘমেয়াদি হাঁটু ব্যথা থেকে আরাম দিতে পারে। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার হাড়ের জোড় পিচ্ছিল করে, যা ব্যথা কমাবে এবং নড়াচড়া করতে সুবিধা হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একগ্লাস পানিতে আধা কাপ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করতে হবে প্রতিদিন।
আদার নির্যাস: আদার তেল, নির্যাস কিংবা সরাসরি আদা খাওয়া হাঁটুর জন্য উপকারী। ‘জিনজেরোল’ নামক উপাদানে ভরপুর আদা, যা প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক। প্রতিদিন দুকাপ আদা চা পান করলেও উপকার মিলবে।
হলুদ: ঔষধি গুণের কারণে প্রাচীনকাল থেকেই সুপরিচিত হলুদ। এতে থাকে আরেকটি শক্তিশালী প্রদাহনাশক উপাদান ‘কারকিউমিন’, যা হাড়ের জোড়ের ব্যথা এবং প্রদাহ সারাতে অত্যন্ত কার্যকর। এক গ্লাস পানিতে আদা ও হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ১২ থেকে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে এবং তা প্রতিদিন পান করতে হবে।
লাল মরিচ: ‘ক্যাপসাইসিন’ নামক উপাদান থাকে এই মরিচে, যা কাজ করে প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে। দুই চা-চামচ জলপাইয়ের তেলের সঙ্গে এক চা-চামচ লাল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে এবং আক্রান্ত স্থানে মালিশ করতে হবে।
ইপসম লবণ: এতে থাকে ম্যাগনেসিয়াম ও সালফেট। দুটোই শক্তিশালী ব্যথানাশক উপাদান, পাশাপাশি কমায় ফোলাভাব। গোসলের পানিতে বড় এক চামচ ইপসম লবণ মিশিয়ে তাতে আধা ঘণ্টা ডুবে থাকতে পারেন।
ঘরোয়া এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণের পাশাপাশি ঘরেই টুকটাক শরীরচর্চা করাও উপকারী হবে। ব্যথা দীর্ঘদিন ভোগালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ছবি: দীপ্ত।
আরও পড়ুন
সর্বাধিক পঠিত
- সাঁতরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা বললেন তরুণী?
- প্রথম টোল দিয়ে বাইক নিয়ে পদ্মা সেতু পার হলেন যিনি
- পুলিশের সামনে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা: চলছে প্রতিবাদ
- পদ্মা সেতু দিয়ে গাবতলীর বাস কবে চলবে?
- প্রাথমিকে ছুটি ২৮ জুন থেকে, মাধ্যমিকে ৩ জুলাই
- উৎসবের মাহেন্দ্রক্ষণে মেয়ের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি প্রধানমন্ত্রী
- দৌড়েই পদ্মা সেতুতে উঠে পড়লেন তারা
- টোল দিয়ে পদ্মা সেতুর প্রথম যাত্রী শেখ হাসিনা
- পাকিস্তানের শেহজাদের অদ্ভুত দাবি
- রোববার থেকে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল