প্রতিদিন ‘ওমেগা থ্রি’

‘ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড’ শরীরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2019, 12:26 PM
Updated : 23 Nov 2019, 12:26 PM

পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে ‘ওমেগা থ্রি ফ্যাটি ফ্যাটি অ্যাসিডস’ হল ‘পলিআনস্যাচারেইটেড ফ্যাটি অ্যাসিডস’ শ্রেণির সমষ্টি যা প্রাকৃতিকভাবে সামুদ্রিক খাবার যেমন- স্যামন, টুনা, ট্রাউট ইত্যাদি মাছে পাওয়া যায়। ‘ওমেগা থ্রি’র আরেক ধরন আছে যাকে বলা হয় ‘এএলএ’ এবং তা পাওয়া যায় সয়া, কিছু সবজি ও সরিষার তেলে।

যেহেতু মানবদেহ ‘ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড’ তৈরি করতে পারে না, তাই ভোজ্য উৎসই একমাত্র ভরসা। সম্পূরক খাবার হিসেবে ‘কডলিভার অয়েল ক্যাপ্সুল’ এক্ষেত্রে সুপরিচিত। তবে যে কোনো ওষুধ বা ভিটামিন গ্রহণ করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে প্রতিদিন ‘ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড’ গ্রহণের উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল।

হতাশা ও মানসিক অস্বস্তি তাড়াতে: মানসিক সমস্যাগুলোর মধ্যে এই দুটি সমস্যা প্রায়শই ভোগায়। হতাশাগ্রস্ততার উপসর্গের মধ্যে আছে মন খারাপ থাকা, অলসতা, বেঁচে থাকার ইচ্ছা লোপ পাওয়া ইত্যাদি। আর মানসিক অস্বস্তির উপসর্গ হল অবিরাম ভীতি ও দুঃশ্চিন্তা। দুই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে ‘ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড’ যদি তা নিয়মিত গ্রহণ করা হয়। যারা এই সমস্যাগুলোতে ইতোমধ্যেই ভুগছেন এমন রোগীরাও নিয়মিত এই পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করায় উপকার পেয়েছেন।

চোখের সুস্বাস্থ্য: ‘ডিএইচএ’ হল ‘ওমেগা থ্রি’য়ের একটি ধরন, যা শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত ‘ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড’ গ্রহণ করলে ‘ম্যাকুলার ডিজেনেরেশন’য়ের ঝুঁকি কমে। এই ‘ম্যাকুলার ডিজেনেরেশন’ স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়া পেছনে দায়ী।

শিশুকে ‘এডিএইচডি’ থেকে সুরক্ষা দিতে: ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার (এডিএচিডি)’ হল এক ধরনের আচরণগত সমস্যা। যাকে চিহ্নিত করা যায় অস্থিরতা, মনোযোগের অভাব ইত্যাদির মাধ্যমে। এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের শরীরে ‘ওমেগা থ্রি’য়ের মাত্রা সুস্থ শিশুদের তুলনায় কম থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ওমেগা থ্রি সাপ্লিমেন্ট’ শিশুদের এই রোগের উপসর্গ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক।

অটো-ইমিউন ডিজিস: এই রোগের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাস্থ্যকর কোষকে ভুল করে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তাদের আক্রমণ করে ধ্বংস করার লক্ষ্যে। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল ‘টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস’। যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অগ্ন্যাশয়ের ‘ইন্সুলিন’ প্রস্তুতকারী কোষকে আক্রমণ করে। জন্মের পর প্রথম এক বছর পর্যাপ্ত ‘ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড’ গ্রহণ করলে ‘অটো-ইমিউন ডিজিস’য়ের ঝুঁকি কমে উল্লেখযোগ্য হারে।

আরও পড়ুন