শরীরের আকৃতি হারানোর সময়সীমা

শরীরচর্চায় দেহের আকৃতি ঠিক রাখা যায়। আবার ব্যায়ামের দীর্ঘ বিরতীতে সেই আকৃতি হারাতেও পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2019, 08:00 AM
Updated : 21 Nov 2019, 08:00 AM

ব্যায়ামাগারে নিয়মিত হওয়ার পরও মাঝেমধ্যে ফাঁকি পড়ে যায়। ক্লান্তি, সময়ের অভাব, আলসেমি, বেড়াতে যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যারা নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যায়াম করে যেতে চান তারা এমতাবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে যায় এই ভেবে যে এতদিনের পরিশ্রম সবই বৃথা যায় কি না।

কতটা সময় ফাঁকি দিলে শরীরের স্বাস্থ্যকর আকৃতি নষ্ট হয়? শরীরচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যের আলোকে জানানো হল বিস্তারিত।

বিশ্রাম খারাপ নয়: প্রথম কথা হল দুএক দিন শরীরচর্চায় ফাঁকি দেওয়া কোনো বড় ব্যাপার নয়। বিশেষ করে কেউ যদি নিয়মিত ভারী শরীরচর্চার মধ্যে থাকেন। তবে অপরাধবোধ করার কোনো কারণ নেই। কারণ দুই দিনেই শরীর বেখাপ্পা হয়ে যাবে না। বরং তাতে শরীর বিশ্রাম পাবে, পেশি তার ক্ষয়পূরণ করার সময় পাবে।

তবে একবার ফাঁকি দেওয়া শুরু হলে সেই ফাঁকির ফাঁদে পড়ে যান অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। আর বিপত্তি বাঁধে এখানেই।

শরীরের আকৃতি হারানোর সময়সীমা: ব্যায়াম বন্ধ রাখার কুপ্রভাব কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে তা নির্ভর করবে কতদিন বন্ধ রাখছেন এবং বর্তমান শারীরিক অবস্থা কেমন তার ওপর।

যদি সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয় দিন নিয়মিত ব্যায়াম করেন তবে শরীর নষ্ট হতে বেশি সময় লাগবে। পুরো একটি সপ্তাহ ব্যায়াম বন্ধ রাখলেও সামান্যই পরিবর্তন আসবে। আর যতটুকু হারাবেন তা আবার নিয়মিত ব্যায়াম শুরু করলে দ্রুত পুষিয়ে নেওয়া যায়। এর কারণ হল যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের ‘মাসল মেমরি’ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে ব্যায়াম বন্ধ রাখলেও পেশির ঘনত্ব কমে খুব কম।

তবে অসুস্থতার কারণে ব্যায়ামে বাধা পড়লে দুতিন সপ্তাহের মধ্যেই শারীরিক শক্তি হারাতে শুরু করবেন। আর অসুস্থ না থাকলে সময় পাবেন চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ।

একজন তরুণ কিংবা তরুণী ৩১ সপ্তাহ শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকলে শারীরিক শক্তি হারায় ৮ শতাংশ। অপরদিকে প্রবীণরা হারান ১৪ শতাংশ। তবে ‘কার্ডিও ফিনটেস’ কমতে থাকবে অপক্ষেকৃত দ্রুত গতিতে।

আসল কথা হল: বিরতির পর আবারও পুরোদমে ব্যায়াম শুরু করতে পারলে যেকোনো ক্ষতিই পূরণ করা সম্ভব। সম্ভব হলে পুরোপুরি ফাঁকি না দিয়ে হাঁটাহাঁটি, ‘জগিং’ ইত্যাদি চালিয়ে যেতে পারলে ভালো। তবে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কোনো ছুটি বা বিরতি নেই।

আরও পড়ুন