প্রক্রিয়াজাত খাবার হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর

অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য খারাপ করে দিতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2019, 08:25 AM
Updated : 14 Nov 2019, 08:25 AM

আর এই তথ্য পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)’র করা একটি গবেষণায়।

এই প্রতিষ্ঠানের গবেষক জেফেং ঝ্যাং বলেন, “হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো খাবার যেমন- ফল, সবজি, পূর্ণশস্য, চর্বিহীন মাংস ইত্যাদি প্রায়ই অতি-প্রক্রিয়াতকরণের মাধ্যমে পরিবর্তন করা হয়।”

তিনি আরও বলেন, “পাশাপাশি অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারে যুক্ত করা হয় উচ্চমাত্রায় লবণ, চিনি, স্যাচারেইটেড ফ্যাট এবং অন্যান্য উপাদান, যা হৃদরোগ তৈরির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।”

বেশিরভাগ সময় অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরিতে ব্যবহার হয় খাবারের নিষ্কাশিত উপাদান, যেমন- চর্বি, শর্করা, হাইড্রোজেনাটেড ফ্যাটস, চিনি, রূপান্তরিত স্টার্চ এবং অন্যান্য কৃত্রিম উপাদান যেমন- স্বাদ, রং অথবা তৈলাক্ত পদার্থ।

সুবিধাজনক এইরকম খাবারের মধ্যে আছে- কোমল পানীয়, প্যাকেটজাত লবণাক্ত খাবার, বিস্কুট, কেক, প্রক্রিয়াজত মাংস, চিকেন নাগেটস, প্যাকেটজাত ইন্সট্যান্ট পাউডার সুপ ইত্যাদি।

এই গবেষণার জন্য ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত করা যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনার হেল্থ অ্যান্ড নিউট্রিশন এক্সামিনেইশন সার্ভে (এনএইচএএনইএস)’র তথ্য ব্যবহার করা হয়।

গবেষকরা ২০ বছর বয়সি এবং তদুর্ধ ১৩ হাজার ৪শ’ ৪৬ জন ব্যক্তির তথ্য পর্যালোচনা করেন। যারা ২৪ ঘণ্টার খাদ্যাভ্যাস এবং হৃদ-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রশ্নমালার উত্তর দেন।

গবেষকরা দেখতে পান, অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার কারণে একজনের ক্যালির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ শতাংশ, যার সঙ্গে হৃদ-সংক্রান্ত স্বাস্থ্য অবনতির সম্পর্ক রয়েছে।

যারা অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে ৪০ শতাংশ বা তার কম ক্যালরি গ্রহণ করেছেন তাদের তুলনায় যারা মোটামুটি ৭০ শতাংশ ক্যালরি গ্রহণ করেন তাদের হৃদসংক্রান্ত স্বাস্থ্যের আদর্শ মান প্রায় অর্ধেক।

যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়াতে ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য ‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সায়েন্টিফিক সেশন ২০১৯’য়ে উপস্থাপিত হতে যাওয়া এই গবেষণা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অফ কেনটাকি’র ডোনা অর্নেট বলেন, “চিনিযুক্ত মিষ্টি পানীয়, বিস্কুট, কেকসহ অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার ব্যাপারে এই গবেষণা জোর দেয়।”

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন